তৃণমূলের হয়ে এতদিন কাজ করেছেন
হুমায়ূন কবীরের তৃণমূলে যোগ নিয়ে মঙ্গলবার লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, প্রশাসনের পদে থেকে তিনি যে তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন এই বিষয়ে বারবার আমরা বলে এসেছি। এমনকি, তাঁর কাজকর্মও সন্দেহজনক ছিল বলে দাবি বিজেপি নেত্রীর। লকেট এদিন বলেন, যখন তেলেনিপাড়ায় হিংসার ঘটনা ঘটে, তখন আমি ও অর্জুনদা একাধিকবার ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সেখানে আমাদের যেতে দেওয়া হয়নি। কমিশনার পদে থাকাকালীন হিংসার ঘটনায় উনি ইন্ধন জুগিয়েছেন বলেও মারাত্মক অভিযোগ বিজেপির এই সাংসদের। শুধু তাই নয়, প্রশাসনের এত বড় পদে থাকাকালিনও একের পর এক তৃণমূলের হয়ে কাজ হুমায়ূন কবীর করে গিয়েছেন বলে মন্তব্য লকেটের।
একই কথা শোনা যায় বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের মুখেও। হুমায়ূনের শাসকদলে যোগ নিয়ে অর্জুন সিং বলেন, একেবারেই দুর্নীতি পরায়ণ একজন পুলিশ অফিসার ছিলেন। শাসকদলের হয়ে যে তিনি কাজ করতেন এই বিষয়ে আমরা একাধিকবার বলেছি। কিন্তু কেউ শোনেনি। আজ স্পষ্ট হল।
প্রশাসনের ৫০ শতাংশ-ই তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে!
পুলিশ প্রশাসনের একাংশ দলদাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। বিজেপির নেতাদের মুখে এমন মন্তব্য নতুন কিছু নয়। এদিন ফের একই মন্তব্য করলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, পুলিশ প্রশাসনের অর্ধেকেরও বেশি শাসকদলের হয়ে কাজ করছে। তাঁদের মধ্যে নিরপেক্ষতা বলে কিছু নেই বলে দাবি বিজেপি নেত্রীর। সামনেই ভোট রয়েছে। উদাহারণ দিয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। আগামিদিনেও এই বিষয়ে ফের জানানো হবে বলে মন্তব্য লকেটের। তাঁর দাবি, যে সমস্ত পুলিশ অফিসার তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে তাঁদের যেন ভোটের কোনও দায়িত্ব না দেওয়া হয় সে বিষয়ে ফের একবার আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছেন লকেট।
হুমায়ুনকে নিয়ে বিতর্কের বিতর্কের শেষ নেই!
দক্ষ পুলিশ অফিসার হলেও হুমায়ূন কবীরকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের খুব কাছের মানুষ ছিলেন এই দক্ষ অফিসার। এক সময়ে তাঁর নাম শুনলে বহু মাফিয়া, মস্তানের শরীর কেঁপে উঠত। একটা সময়ে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন থেকে হাতকাটা দিলীপকে গ্রেফতার করে লাইমলাইটে এসেছিলেন হুমায়ুন। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি এই অফিসারকে। একের পর এক উচ্চপদে যান তিনি। পরিবর্তন সরকারের পরেও মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সু-নজরে পড়েছিলেন এই পুলিশ অফিসার। তবে তাঁর বিরুদ্ধে শাসকদলের হয়ে কাজ করার একাধিকবার অভিযোগ এনেছিল বিরোধীরা। এমনকি, কমিশনের নির্দেশে সরে যেতেও হয়েছিল তাঁকে।