স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে একাধিক প্যাকেজের রেট বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছিল বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলি। তাদের সেই দাবি মেনে প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত প্রায় ৬০ শতাংশ প্যাকেজের রেট বৃদ্ধি করল রাজ্য সরকার। নবান্ন জানিয়েছে, ১০-১৫ শতাংশ রেট বৃদ্ধি করা হয়েছে৷ স্বাস্থ্যসাথীর উপভোক্তাদের জন্য মোট ১ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা খরচ করবে রাজ্য সরকার।

একুশের লক্ষ্যে মাস দুয়েক আগেই মমতা সরকারের মাস্টারস্ট্রোক ছিল, সকল রাজ্যবাসীকে স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় আনা। কিন্তু ওই কার্ড নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এবার সেই সমস্যা কাটাতে উদ্যোগী হল নবান্ন। মঙ্গলবার রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্বাস্থ্যসচিব স্বরূপ নারায়ণ নিগম। সেই বৈঠকেই প্যাকেজের রেটবৃদ্ধির কথা জানানো হয়। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবি জানিয়ে আসছিল বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলি। তাদের অভিযোগ ছিল, সরকারের বেঁধে দেওয়া রেটে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে চিকিৎসা সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এদিন তাদের দাবি অনেকটাই মেনে নিয়েছে সরকার।

স্বাস্থ্যসাথী’র আওতায় থাকলেও অনেক বেসরকারি হাসপাতালে এই প্রকল্পের সুবিধা মেলে না, এমন অভিযোগ প্রায়ই ওঠে। ইতিমধ্যেই বেসরকারি নার্সিংহোম ও হাসপাতাল গুলিকে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা ফেরালে লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন তিনি। এমনকী প্রয়োজনে রোগীর পরিবারকে থানাতেও অভিযোগ জানাতে বলেছিলেন তিনি। এদিনও রাজ্য সরকারের তরফে স্পষ্ট বলা হয়েছে, চিকিৎসার জন্য রোগীকে প্রত্যাখ্যান করা চলবে না। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী বাজেট ভাষণে ‘স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের বরাদ্দ বাড়িয়ে ১৫০০ কোটি করেছেন৷ সেইসঙ্গে জানিয়েছেন, তিন বছর অন্তর পুনর্নবীকরণ করা হবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড।’

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে এই প্রকল্পে মোট ২ হাজার ৪৭টি হাসপাতাল রয়েছে। সম্প্রতি ৪০০টি হাসপাতাল নতুন করে যুক্ত হয়েছে। শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতালেই ৬৪ হাজারের বেশি শয্যা রয়েছে চিকিৎসার জন্য। বেসরকারি হাসপাতালে শয্যা রয়েছে ৫৭ হাজারের বেশি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।