চেন্নাই: সিরিজের প্রথম টেস্টেই ইংরেজদের সামনে ভারতের আত্মসমর্পণ৷ ১৯৯৯ সালের পর চিপকে টেস্ট ম্যাচ হারল ভারত৷ সেই সঙ্গে চিপকে টানা আটটি টেস্টে ভারতের অপরাজিত থাকার রেকর্ড থামাল ইংল্যান্ড৷ এই জয়ের ফলে বিদেশের মাটিতে টানা ছ’টি টেস্ট জিতল রুুটবাহিনী৷
প্রথম ইনংসে ইংল্যান্ডের ৫৭৮ রান তাড়া করতে নেমে ৩৩৭ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া৷ দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় বোলাররা ইংরেজদের ১৭৮ রানে বেঁধে রাখে৷ কিন্তু প্রথম ইনিংসে ২৪১ রানে এগিয়ে থাকায় বিরাটদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪২০ রান৷ সোমবার তৃতীয় দিনের শেষে রোহিত শর্মার উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান তুলেছিল ভারত৷ সুতরাং মঙ্গলবার ম্যাচের শেষ দিন ড্র করার সুযোগ ছিল কোহলিদের সামনে৷ অনেকেই ভেবেছিলেন, চিপকেও সিডনির মতো অঘটন কিছু ঘটবে৷ এসসিজি-তে অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী বোলিংয়ের বিরুদ্ধ সারা ব্যাটিং করে ম্যাচ ড্র করেছিল ভারত৷
কিন্তু চিপকে তেমনটা হয়নি৷ কিংবদন্তি জেমস অ্যান্ডারসনের রিভার্স সুইংয়ের সামনে অসহায় আত্মসমপর্ণ করে ভারতীয় টপ-অর্ডার৷ দিনের প্রথম প্রশম সেশনেই পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ পকেটে পুরে নেয় ইংল্যান্ড৷ ইনিংসের ২৭তম ওভারে গিল ও অজিঙ্ক রাহানেকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়ে ইংল্যান্ডকে জয়ের সন্ধান দেন অ্যান্ডারসন৷ লাঞ্চের আগে জিমির স্পেলই ভারতকে শেষ করে দেয়৷ রিভার্স সুইংয়ে মাত্র ৫ ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়ে দলের জয় প্রস্থথ করেন জিমি৷ একই ওভারে গিল ও রাহানেকে তুলে নেওয়ার পর পরের ওভারে ঋষভ পন্তকে প্যাভিলিয়নের পথে দেখান অ্যান্ডারসন৷
পঞ্চম দিনের শুরুতে গিল আক্রমণাত্মক শুরু করলেও ব্যক্তিগত ১৫ রানে জ্যাক লিচের শিকার হন চেতেশ্বর পূজারা৷ তারপর তৃতীয় উইকেটে গিলের সঙ্গে ৩৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ইনিংস সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন কোহলি৷ কিন্তু টেস্ট কেরিয়ারে এদিন তাঁর তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি করার পর প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন গিল৷ অ্যান্ডারসনের ইনসুইং ডেলিভারি গিলের স্টাম্প ছিটকে দেয়৷ ব্যক্তিগত ৫০ রান করে আউট হন গিল৷
এরপর কোহলিকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসেন তাঁর ডেপুটি৷ কিন্তু তিনি মাত্র ৩ বল ক্রিজে কাটান রাহানে৷ অ্যান্ডারসনের দুরন্ত ডেলিভারি রাহানের অফ স্টাম্প নড়িয়ে দেয়৷ শূন্য রানে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটা লাগান টিম ইন্ডিয়ার ভাইস-ক্যাপ্টন৷ প্রথম ইনিংসের সর্বোচ্চ রানের মালিক পন্ত ১১ রান করে অ্যান্ডাসনের শিকার হন৷ এখানেই শেষ নয়, লাঞ্চের আগে আরও একটি উইকেট হারায় ভারত৷ প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলা ওয়াশিংটন সুন্দরকে শুরুতেই তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডের জয়ের পথ প্রস্থথ করেন ডম বেস৷ শূন্য রানে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন সুন্দর৷ ক্যাপ্টেন কোহলি লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করলেও তা ছিল নিমিত্ত মাত্র৷ ১০৪ বলে ৭২ রান করেন বিরাট৷ এরপর ভারতের ইনিংস বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি৷ ১৯২ রানে ভারতকে শেষ করে দিয়ে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.