স্টাফ রিপোর্টার, বীজপুর: গোটা দেশের কাছে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করলেন বীজপুরের বাসিন্দা স্বর্ণালী দে। জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপের এবং লেকচারশিপ / সহকারী অধ্যাপক এর জন্য যৌথ সিআইএসআর- ইউজিসি ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্টে (নেট) পরীক্ষায় সারা দেশে প্রথম হয়েছেন তিনি। জীবন বিজ্ঞানে তাঁর র্যাঙ্ক প্রথম৷ তাঁর সর্বমোট এনটিএ পারসেন্টাইল স্কোর ১০০।
কাঁচরাপাড়া লেলিন সরণিস্থিত অধ্যাপক বিশ্বজিৎ দে ও সুবর্ণা দের কন্যা স্বর্ণালী দে৷ রাজ্যের এই উজ্জ্বল মেধাবী ছাত্রী পড়াশোনা করেছেন কল্যাণী স্ত্রীন্ডেল হাই স্কুল থেকে। তার পর বেথুন কলেজ থেকে বটানি অনার্স পাস করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজ থেকে এমএসসি করে সেখানেই গবেষণা করছেন। এমএসসি পরীক্ষাতেও ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হন স্বর্ণালী। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজেই প্ল্যান্ট ফিজিওলজির উপর গবেষণা করছেন তিনি।
ইন্টারনেটে মেয়ের র্যাঙ্ক দেখে আপ্লুত বাবা-মা। বিশ্বজিৎ বাবু ফেসবুকে তার মেয়ের এই সাফল্য তুলে ধরে মেয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেছেন। এছাড়াও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন বিজ্ঞান বিভাগের ফেসবুক পেজে স্বর্ণালীর এই উজ্জ্বল কৃতিত্ব তুলে ধরা হয়। এরপরেই সকলে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে থাকে স্বর্ণালীকে। নিজের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত স্বর্ণালী নিজেও। তিনি বলেন, র্যাঙ্ক দেখে খুবই খুশি হয়েছি। ভালো ফল হবে আশা করেছিলাম। কিন্তু, এতটা আশা করিনি। এটা আমার কাছে সারপ্রাইজও।
সর্বভারতীয় এই পরীক্ষাটি হওয়ার কথা ছিল গত জুন মাসে। কিন্তু, করোনা ভাইরাসের জন্য সেই পরীক্ষা পিছিয়ে গিয়েছিল। গত ২১ নভেম্বর পরীক্ষা হয়। স্বর্ণালী জীবন বিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষায় বসেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি সিএসআইআর এই পরীক্ষার অফিসিয়াল রেজাল্ট বের করে। তাতে দেখা যায়, দেশে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে আগামী মে’র গোড়ায় শুরু হতে চলেছে ইউজিসি-নেট পরীক্ষা। চলবে ওই মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মাঝামাঝি পর্যন্ত। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ অর্জন এবং সহকারী অধ্যাপক পদের জন্য আগামী ২ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত ১১ দিন ইউজিসি-নেট পরীক্ষা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.