সুভাষ বৈদ্য,কলকাতা: ভোটের মুখে ফের কলকাতা পুলিশ কমিশনারের (Police Commissioner) দায়িত্ব পেলেন সৌমেন মিত্র (Soumen Mitra)৷ আজ সোমবার লালবাজারে এসে সদ্য প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মার (Anuj Sharma) থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন তিনি৷ ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও কলকাতা পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন সৌমেন মিত্র।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সৌমেন মিত্র বলেন, “আরও বেশি পেশাদারিত্বের সঙ্গে পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। শুধু গ্রেফতারই নয়, সাজাও নিশ্চিত করা হবে। বর্তমানে অপরাধের ধরন বদলে গেছে। সাইবার ক্রাইম এখন প্রাধান্য পেয়েছে। এক্ষেত্রে তদন্ত ও চার্জশিট যাতে দ্রুত দেওয়া যায় সেই বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

তিনি আরও জানালেন,মহিলা ও শিশুদের নিরাপত্তায় বেশি করে জোর দেওয়া হবে৷ এছাড়া ট্রাফিকেও গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন কলকাতার নয়া পুলিশ কমিশনার। অন্যদিকে কলকাতা পুলিশের বিদায়ী পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মার সম্মানে সোমবার সকালে কলকাতার পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ ‘ফেয়ারওয়েল প্যারেড’৷

বিধানসভা ভোটের মুখে আইপিএস অনুজ শর্মার (Anuj Sharma) জায়গায় কলকাতার নতুন পুলিশ কমিশনার হলেন সৌমেন মিত্র (Soumen Mitra)৷ এতদিন রাজ্য পুলিশের এডিজি ট্রেনিং পদে ছিলেন তিনি। অন্যদিকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার থেকে এডিজি সিআইডি পদে গেলেন অনুজ শর্মা। এখন থেকে রাজ্য় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানের পদ সামালাবেন তিনি।

প্রসঙ্গত ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের মুখেও কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনারকে বদলি করেছিল রাজ্য সরকার৷ রাজীব কুমারের (Rajiv Kumar) জায়গায় পুলিশ কমিশনার পদে নিয়ে আসা হয়েছিল সৌমেন মিত্রকে৷ ভোটের পরে ফের রাজীব কুমারকে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদ ফিরিয়ে আনা হয়েছিল৷

উল্লেখ্য,সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ এসেছিল কলকাতায়৷ রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি পুলিশ কমিশনার,জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করে কমিশনের আধিকারিকরা।

তার আগে বঙ্গ সফরে এসে সমস্ত রিপোর্ট নিয়ে গিয়েছিলেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। তিনি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি জানিয়ে দিয়েছেন যে রাজ্যে ১০০ শতাংশ শান্তি ফিরলে তবেই হবে ভোট। পাশাপাশি উপ নির্বাচন কমিশনার কমিশনারের হুঁশিয়ারি, কর্তব্যে কোনও গাফিলতি থাকলে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের মতো সরকারি আধিকারিকদের সরাসরি অপসারণ করা হবে। শো–কজের সুযোগও দেওয়া হবে না।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।