বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ঘরওয়াপসি দুই বিধায়কের! একুশের ভোটের মুখে কী বললেন শুভেন্দু

বিজেপি ছেড়ে কি তৃণমূলে ঘরওয়াপসি হচ্ছে দুই বিধায়কের? জল্পনা চলল দিনভর। শুধু জল্পনাই নয়, কটাক্ষও ধেয়ে এল তৃণমূলের দিকে। আর তৃণমূলের দুই বিধায়কের বিজেপি থেকে ঘরওয়াপসির জল্পনায় কটাক্ষের তির ছুড়লেন আর এক প্রাক্তন তৃণমূলী শুভেন্দু অধিকারী। বিশ্বজিৎ-সুনীলকে নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন তিনি।

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে দুই বিধায়ক! জল্পনা

সোমবার বিধানসভার ঘটনাক্রমে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া দুই বিধায়ককে নিয়ে জল্পনার পারদ চড়ে। নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং ও বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে যান, তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন। প্রায় ২০-২২ মিনিট তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়।

কেন বিজেপির লোকেদের দিকে হাত! তোপ শুভেন্দুর

ওই দুই বিধায়কের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কথার পরই কটাক্ষের সুর শোনা যায় শুভেন্দু অধিকারীর গলায়। তাঁর প্রাক্তন নেত্রীকে নিশানায় কটাক্ষের সুরে শুভেন্দু বলেন, বিশ্বজিৎকে বলেছে, কী রে বিশ্বজিৎ ডিসিশন নিলি? বিজেপিতে যারা যাচ্ছে সবাই খারাপ, তাঁদের আর দলে নেওয়া হবে না। আর এখন কেন বিজেপির লোকেদের দিকে হাত বাড়াতে হচ্ছে!

তৃণমূল আর বিজেপির ফারাক করছেন শুভেন্দু

শুভেন্দু বলেন, এখন সব ভোট বিজেপির দিকে যাচ্ছে, তাই বিজেপির মধ্যে ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছে। বিজেপি প্রতিদিন কাজের সুযোগ দিচ্ছে। তৃণমূলের প্রথম নীতি পরিবার ও ব্যক্তিস্বার্থ। দ্বিতীয় দল আর তৃতীয় নাই বললাম। আর বিজেপির প্রধান নীতি হল দেশ, তারপর দল এবং তৃতীয় ব্যক্তির অবদান।

বিজেপিতে গিয়ে কী বলছেন শুভেন্দু-রাজীব

শুভেন্দু বলেন, বিজেপিতে আমরা ৪৫ দিন হয়ে গেল। এই পার্টিকে নিজের করতে হবে। প্রকৃত সেবক হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে হবে। রাজীবের গলাতেও শোনা গেল একই সুর। এত বড় পরিবারে এসে যে সম্মান পেয়েছি, তাতে অভিনন্দন জানাই। ঝুঁকি আমরা নিয়েছি। কেন নিয়েছি। কারণ আমরা বাংলার জন্য কাজ করতে চাই।

ক্তিস্বার্থ নেই। রাজ্যের স্বার্থেই দলবদল

রাজীব বলেন, আমাদের মধ্যে কোনও ব্যক্তিস্বার্থ নেই। রাজ্যের স্বার্থেই আমরা দলবদল করেছি। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আমরা মানুষের জন্য কাজ করব। আগামী দিনে ডাবল ইঞ্জিন সরকার হবেই। ২০২১-এ নির্বাচনে বিজেপিই জিতবে। দরকারে রাজনীতি ছেড়ে বেকার যুবক, শ্রমিক, কৃষকদের জন্য কাজ করব।

More SUVENDU ADHIKARI News