মেলবোর্ন: করোনা ভীতিকে দূরে ঠেলে গ্যালারিতে সীমিত সংখ্যায় দর্শক উপস্থিতির মধ্যে দিয়ে ঢাকে কাঠি পড়ে গেল বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের। প্রথম সারির অনেক তারকার কাছে এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দীর্ঘ বিরতির পর কোর্টে ফেরা। তালিকায় যেমন রয়েছেন ঘরের ছেলে নিক কিরিয়স, তেমনই রয়েছেন বিয়াঙ্কা আন্দ্রেস্কু। এক বছরেরও বেশি সময় বাদে কোর্টে ফিরলেন ২০১৯ যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের রানি বিয়াঙ্কা। আর গত ১৫ মাসে করোনা ছাড়াও কানাডিয়ান মহিলা প্লেয়ারটিকে কোর্টের বাইরে লড়তে হয়েছে চোট-আঘাতের সঙ্গে।

তাই প্রত্যাবর্তনে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে সোমবার প্রথম রাউন্ডে জয়ের পর কোর্টেই কেঁদে ফেললেন বিয়াঙ্কা। রোমানিয়ান প্রতিদ্বন্দ্বী বুজার্নেস্কুর বিরুদ্ধে এদিন প্রথম সেটটা সহজে জিতলেও ম্যাচ জয় ততটা সহজ হয়নি কানাডার একমাত্র গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী টেনিস তারকার জন্য। ২ ঘন্টা ২ মিনিটের লড়াইয়ের পর এদিন বুজার্নেস্কুকে ৬-২, ৪-৬, ৬-৩ সেটে পরাস্ত করেন টুর্নামেন্টের অষ্টম বাছাই। আর কঠিন লড়াইয়ের পর ম্যাচ শেষে কোর্টেই কেঁদে ফেলেন আবেগঘন বিয়াঙ্কা। মেলবোর্ন পার্কে এদিন প্রথম রাউন্ডের বাধা টপকানোর পথে ২৭টি উইনার মারেন ২০১৯ যুক্তরাষ্ট্র ওপেন বিজয়ী।

ম্যাচ শেষে আবেগঘন বিয়াঙ্কা জানান, ‘এই জয়টা আমার কাছে ভীষণ দামী। আমি কখনও হাল ছাড়িনি। আমি সবসময় আমার দক্ষতার প্রতি বিশ্বাস রেখে এসেছি। আপাতত আমার লক্ষ্য পরের ম্যাচ।’ রড লেভার এরিনায় বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামে কোর্টে নামার আগে প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট গ্রাম্পিয়ান্স ট্রফিতে অংশগ্রহণ করার কথা ছিল বিয়াঙ্কার। কিন্তু মেলবোর্নে পৌঁছে ১৪ দিনের কঠোর নিভৃতবাস কাটানোর পর কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করে সেই প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন তিনি। চোটের কবল থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে না আসায় গতবছর করোনা আবহে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনেও টাইটেল ডিফেন্ড করতে নামেননি বিয়াঙ্কা।

২০১৯ অক্টোবরে ডব্লুটিএ ফাইনালসের পর বাঁ-হাঁটুর চোটে কাবু বিয়াঙ্কা আর কোনও প্রতিযোগীতামূলক ম্যাচ খেলেননি। তাই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম রাউন্ডে এদিন আপাত সহজ প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে নামলেও বিষয়টাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই গ্রহণ করেছিলেন কানাডিয়ান তারকা। উল্লেখ্য, ২০১৯ ফ্লাশিং মেডোর ফাইনালে কিংবদন্তি সেরেন উইলিয়ামসের ২৪তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের স্বপ্নকে বানচাল করে কেরিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে নিয়েছিলেন বছর কুড়ির বিয়াঙ্কা, তাও আবার স্ট্রেট সেটে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।