নয়াদিল্লি : ঝাঁকে ঝাঁকে নামছে ড্রোন। প্রতিটিই স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রে তৈরি। হামলা চলছে শত্রুপক্ষের ওপর। এমনই দিন দেখতে চলেছে ভবিষ্যতের পৃথিবী। আকাশপথে যুদ্ধের নকশা বদলে দিতে তৈরি হচ্ছে আনম্যানড ড্রোন, যা এক সাথে বেশ কয়েকটি মিলে হামলা চালাতে সক্ষম।

এই ছবি দেখা গিয়েছিল ২০১৮ সালের রাশিয়ায়। পশ্চিম সিরিয়ায় তৈরি রাশিয়ার খেমেইমিম এয়ারবেসে ধরা পড়ে এরকম ১৩টি ড্রোন। খুব নীচু দিয়ে উড়ছিল এগুলো। সাথে সাথে এয়ার ডিফেন্স অপারেটররা গুলি চালায়। সাতটি ড্রোনকে গুলি করে নামানো হয়। ৬টি ড্রোনকে জ্যাম করা হয়।

তবে এই ছবি ইসলামিক স্টেট বা তালিবানদের জন্য নতুন নয়। একাধিক ড্রোনকে নজরদারির জন্য না হলেও অস্ত্র বহনে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভারি ভারি অস্ত্র বয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে। সূত্রের খবর, হামলার পদ্ধতি বলানোর কথা ভাবনা চিন্তা চলছে এই জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে। ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার কথা ভাবছে আইএস বা তালিবানের মতো জঙ্গি সংগঠন।

তবে খেমেইমিম এয়ারবেসে ড্রোন হামলাই প্রথম এই ধরণের যুদ্ধের সূচনা বলা যেতে পারে। এরপর ২০১৯ ও ২০২০ সালে প্রায় ১৫০টি ড্রোন নিষ্ক্রিয় করেছে রাশিয়া বলে সূত্রের খবর। ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর দুটি ধাপে সৌদি আরামকো তৈল প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে হামলা চালায় মোট ২৫টি ড্রোন। তবে সৌদি এয়ার ডিফেন্স তা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়।

ভারতের ভূমিকা

ড্রোন তৈরিতে ও তার ব্যবহারে পিছিয়ে নেই ভারতও। বেঙ্গালুরুর হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যালের বিজ্ঞানীদের হাতে তৈরি হচ্ছে এই ধরণের ড্রোনের ঝাঁক। যাকে বলা হচ্ছে ‘Drone swarms’। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে পরিচালিত করা যায় ড্রোনগুলিকে। ফলে এগুলি স্বয়ংক্রিয়। এই ড্রোনের পোশাকি নাম আলফা-স। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই আলফা-স ভবিষত্যে আকাশপথে যুদ্ধের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেবে। অত্যাধুনিক ড্রোন বানানো ফলে একদিকে নজরদারির কাজ, অন্যদিকে নিখুঁত ভাবে হামলা চালানোর কাজ করা যাবে এই ড্রোন দিয়ে।

মাস ড্রোন অ্যাটাকের ছবি আগেও দেখা গিয়েছে। বড় বড় রাষ্ট্র যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চিনের মতো দেশ এই ধরণের যুদ্ধের ওপর জোর দিচ্ছে। গবেষণা চলছে নিখুঁত ড্রোনের কার্যকলাপ তৈরি করার। দেখা গিয়েছে যে ধরণের ড্রোন তৈরি হচ্ছে, তার দুটি ডানা থাকছে। এক একটি ড্রোন লম্বায় প্রায় দেড় মিটার হচ্ছে। নীচ থেকে দেখতে এগুলি অনেকটা পাখির মত হবে। ওড়ার গতি হবে ঘন্টায় ১০০ কিমি। ২ঘন্টা ওড়ার ক্ষমতা থাকবে এদের। তার মধ্যেই হামলা চালিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় ফিরতে হবে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।