৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছিল তপোবন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তপোবন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি হয়েছিল রাজ্য পরিচালিত এনটিপিসির তত্ত্বাবধানে। করচ হয়ে্ছিল প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু উমা ভারতীর দাবি শুরু থেকেই এই প্রকল্পের বিরোধীতা করেছিলেন তিনি। এমনকী সংবেদনশীল এলাকা হওয়ার কারণেই মূলত উত্তরাখণ্ডে হিমালয়ের বুকে গঙ্গা এবং তার প্রধান শাখানদীগুলির উপরে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে গতাকালের টুইটে জানান এই বিজেপি নেত্রী।
বিস্ফোরক দাবি উমার
এদিকে মোদী সরকারের আমলে প্রথম দফায় কেন্দ্রীয় জল সম্পদ, নদী উন্নয়ন এবং গঙ্গা পুনর্জীবন মন্ত্রকের মন্ত্রী ছিলেন উমা ভারতী৷ রবিবারের বিপর্যয়ের পর টুইট করে তিনি বলেছেন, এই ঘটনা শুধু উদ্বেগেরই নয়, ভবিষ্যতের জন্য আমাদের কাছে বড়সড় সতর্কবার্তা৷ এদিকে উত্তরাখণ্ডেপ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণ নিয়ে যখন গোটা দেশজুড়ে কাটাছেঁড়া চলছে, ঠিক তখনই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এহেন মত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
টুইট বার্তায় কী বললেন উমা ভারতী
এদিকে টুইটে উমা ভারতীর দাবি, "আমি মন্ত্রী থাকাকালীন হিমালয় উপত্যকার গঙ্গায় বাঁধ তৈরি নিয়ে হলফনামা জমা দিয়েছিলাম। শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়েছিল আমার মন্ত্রক। কিন্তু তারপরেও কোনও কাজ হয়নি। কিন্তু স্পর্শকাতর এলাকায় এই কাজ কতটা ভয়াবহ হতে পারে তার পরিণতি আমরা দেখছি। হিমবাহ ধস শুধুমাত্র উদ্বেগজনক নয়, বরং একে চরম হুঁশিয়ারি হিসেবেও দেখা উচিত।"
হরিদ্বারে রয়েছেন উমা ভারতী
এদিকে উমা ভারতী নিজে এই মুহূর্তে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারেই রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে৷ সেখানেও সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। হরিদ্বারেও গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা৷ এদিকে গতকালের তুষারধসের পর ১৭০ জন মানুষ এখনও নিখোঁজ বলে জানা যাচ্ছে৷ উদ্ধার হয়েছে ১০ জনের দেহ৷ জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে ১৬ জন। বাকিদেরও মৃত্যু হয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে।