প্রতীতি ঘোষ, বারাকপুর : ফের পুলিশের মানবিক মুখ দেখল আমজনতা। মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতীকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে তাঁকে নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে দিল পুলিশ।

উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের নোয়াপাড়া থানার পুলিশ কর্মীরা রবিবার নোয়াপাড়ার ইছাপুর মানিকতলা এলাকা থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবতীকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে ওই যুবতীকে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে তার বাড়িতে ফিরিয়ে দেন। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবতীর নাম টুনটুনি খাতুন । গত ৬ ফেব্রুয়ারি ওই যুবতী মুর্শিদাবাদের রঘুনাথ গঞ্জের কাঁদি কলা গ্রাম থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়।

এদিকে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ কর্মীরা ওই যুবতীকে রবিবার ইছাপুর মানিকতলা এলাকায় ঘোষপাড়া রোডের পাশে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও ওই যুবতী বার বার জিজ্ঞাসাবাদের পর নোয়াপাড়া থানার পুলিশকে সে জানায় মুর্শিদাবাদ থেকে লালগোলা ট্রেনে উঠে ইছাপুর চলে এসেছে সে। এরপরই নোয়াপাড়া থানার পুলিশ কর্মীরা যোগাযোগ করে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার সঙ্গে । ওই থানায় আগেই টুনটুনি খাতুনের বাড়ির লোকজন বাড়ির মেয়ে হারিয়ে যাওয়ায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেছিল । রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ এরপর কাঁদি কলা গ্রামে গিয়ে টুনটুনির পরিবারকে জানায় নোয়াপাড়া থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে।

এরপর টুনটুনির পরিবার নোয়াপাড়া থানায় যোগাযোগ করে সোমবার সকালে চলে আসে নোয়াপাড়া থানায় । সেখানেই বাড়ির মেয়েকে দেখতে পান টুনটুনির পরিবারের সদস্যরা । এরপর পুলিশ কর্মীরা উপযুক্ত প্রমাণ দেখে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতীকে তার পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেয় । নিজের দাদা ও মাকে চিনতে পারে টুনটুনি ।

নোয়াপাড়া থানার পুলিশ কর্মীরা যত্ন করেই রেখেছিল টুনটুনিকে । টুনটুনির দাদা হাবিবুল শেখ বলেন, “আজকে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ আমার বোনকে খুঁজে দিয়েছে । ও অসুস্থ । মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে এতদূর চলে আসবে ভাবিনি আমরা । পুলিশ কর্মীদের অসংখ্য ধন্যবাদ । আমরা বোনকে নজরে নজরে রাখব।”

নোয়াপাড়া থানার পুলিশ কর্মীরা টুনটুনির পরিবারের সদস্যদের বলেন ওর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে। টুনটুনি পুলিশকে জানায়, সে না জানিয়ে এরপর থেকে বাড়ি থেকে বেরোবে না । শেষ পর্যন্ত নোয়াপাড়া থানার পুলিশের সহযোগিতায় নিজের পরিবারের সদস্যদের হাত ধরে ঘরে ফিরল টুনটুনি ।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।