ঢাকা: আশঙ্কাই শেষমেষ সত্যি হল। ঊরুর চোটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন শাকিব আল হাসান। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে চলা দ্বিতীয় টেস্টে তারকা অলরাউন্ডের না থাকার বিষয়টি সোমবার এক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

চট্টগ্রামে প্রথম টেস্ট চলাকালীনই চোটের কবলে পড়েছিলেন আইসিসি টেস্ট র‍্যাংকিংয়ের চার নম্বর অলরাউন্ডার। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট কিংবা বল হাতে শাকিবের সার্ভিস থেকে বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। তখন থেকেই আশঙ্কার চোরাস্রোত বইতে শুরু করেছিল বাংলাদেশ শিবিরে। এদিন তাতে সিলমোহর দিয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে শাকিবের ছিটকে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করল সেদেশের ক্রিকেট বোর্ড। আগামী বৃহস্পতিবার সিরিজে পিছিয়ে থেকে মীরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় তথা অন্তিম টেস্টে মাঠে নামবে বেঙ্গল টাইগাররা।

গত রবিবার চট্টগ্রামে শেষ হওয়া প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে শাকিবের অভাব ব্যাপকভাবে অনুভূত হয় বাংলাদেশ শিবিরে। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে মূল্যবান ৬৮ রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে চোটের কারণে আর ব্যাট করতে নামতে পারেননি দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক। বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও প্রথম ইনিংসে মাত্র ৬ ওভার হাত ঘুরিয়েছিলেন শাকিব। এরপর বাকি সময়টা আর শাকিবের সার্ভিস পায়নি দল। দ্বিতীয় ইনিংসে দলের ব্যাটিংয়ে তাঁর অভাব খুব একটা বোধ না হলেও চতুর্থ ইনিংসে বোলিংয়ের ক্ষেত্রে শাকিবের না থাকার মূল্য চোকাতে হয় তাঁর দলকে।

উল্লেখ্য, চতুর্থ ইনিংসে ৩৯৫ রান তাড়া করে রবিবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশকে হারিয়ে ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। উপমহাদেশের মাটিতে চতুর্থ ইনিংসে সর্বাধিক রান তাড়া করে জয়ের নজির এটাই। আর অভিষেকে ব্যাট হাতে অপরাজিত দ্বিশতরানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলে অসম্ভবকে সম্ভব করেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান কাইল মায়ার্স। ৩১০ বলে তাঁর অপরাজিত ২১০ রানের ইনিংসই বাংলাদেশের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে যায়।

৮৬ রান করে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন বোনার। পঞ্চমদিনের অন্তিম সেশনে ১২৯ রান তাড়া করে রবিবার ১.৩ ওভার বাকি থাকতেই রান তুলে দেন মায়ার্স। কিন্তু শাকিবের অভিজ্ঞতা যদি বাংলাদেশের সহায় হত, তাহলে ম্যাচের ফল অন্যরকমও হতে পারত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই সিরিজে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় টেস্টে শাকিবের অভাব কীভাবে পূরণ করা যায়, সেদিকেই এখন নজর বাংলাদেশের। তবে এখনও পরিবর্ত হিসেবে কারও নাম ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।