নয়াদিল্লি: এবার যদি গাড়ি ব্যবহারকারীরা তাদের পুরনো গাড়িটি বাতিল করে নতুন গাড়ি নিলে ক্রেতারা সুবিধা পাবে। নতুন নীতিতে ধাপে ধাপে পুরনো গাড়িগুলি (যেগুলি সাধারণত দূষণ ছড়ায়) বাতিল করতে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই নয়া নীতিকে আশীর্বাদ বলে আখ্যা দিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, এর ফলে ভারতের অটোমোবাইল শিল্প উজ্জীবিত হবে এবং তাদের বাৎসরিক আয় ১০ লক্ষ কোটি টাকায় গিয়ে দাঁড়াবে।
কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২১-২২ এ ‘ভলেনটারি ভেহিকেল স্ক্র্যাপি়ং পলিসি’ ঘোষণা করা হয়। এই পদক্ষেপের ফলে করোনার সংকটের কারণে ধাক্কা খাওয়া ভারতের অটোমোবাইল ক্ষেত্রটিকে উজ্জীবিত করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। নয়া এই নীতির ফলে ব্যক্তিগত গাড়ি ২০ বছর পার করলে এবং বাণিজ্যিক গাড়ি ১৫ বছর অতিক্রম করলে ‘ফিটনেস টেস্ট’ দিতে হবে।
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি বলছেন, যারা তাদের পুরনো গাড়ি বাতিল করবে তারা কিছু সুবিধা পাবে গাড়ি উৎপাদকদের কাছ থেকে। পাশাপাশি তার বক্তব্য, বাস্তবে এই নীতি প্রমাণ করবে সামগ্রিকভাবে আশীর্বাদ স্বরূপ… শুধুমাত্র অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে না বা অটোমোবাইল ক্ষেত্রকে সুবিধা করে দেবে না এর পাশাপাশি গাড়ি থেকে নির্গত দূষণ নিয়ন্ত্রণ হবে।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই নীতি সম্পর্কে বিস্তারিত কথা তিনি শীঘ্রই জানাবেন। পাশাপাশি তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী দিনে অটোমোবাইল শিল্প অন্যতম ক্ষেত্র হয়ে উঠবে যা সর্বাধিক কর্মসংস্থান দিতে সক্ষম হবে। এই প্রসঙ্গে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যেহেতু পুরনো গাড়ি বাতিলের বিষয়টি বাধ্যতামূলক নয় এটা গাড়ির মালিকের ইচ্ছার উপর ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে সেক্ষেত্রে তাদের উৎসাহিত করতে কোনও রকম সুবিধা দেওয়া হবে কিনা। সে ক্ষেত্রে অবশ্য মন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন করজনিত সুবিধা রাখা হবে এবং কঠোর ভাবে ফিটনেস টেস্ট নেওয়া হবে।সড়ক পরিবহন সচিব জানিয়েছেন, কি ধরনের সুবিধা দেওয়া হবে তা এই বিষয়ে স্বার্থ জড়িত মানুষদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে।
তা ছাড়া ফিটনেস টেস্ট সফল না হওয়া গাড়ি চালালে বড়োসড়ো জরিমানার মুখে পড়তে হবে। নীতিন গড়করি মনে করছেন, এই নীতির ফলে নতুন গাড়ি কেনার প্রবণতা বাড়াবে। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বর্তমানে থাকা গাড়ি শিল্পের ব্যবসা ৪.৫ লক্ষ কোটি টাকা থেকে ১০ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছে যাবে এবং ভারত অটোমোবাইল ক্ষেত্রের হাব হয়ে উঠবে। যেখানে এখন ১.৪৫ লক্ষ কোটি টাকা গাড়ি রপ্তানি করা হয় সেটা অচিরে বেড়ে গিয়ে ৩ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছবে। তাছাড়া এভাবে পুরনো গাড়ি বাতিল হলে ওইসব গাড়ির অংশবিশেষ অটোমোবাইল পার্টস হিসেবে ব্যবহার করা হবে যার ফলে এইসবের দাম ৩০-৪০ শতাংশ কমে যাবে। নয়া পলিসিতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করার মাধ্যমে গাড়ির মাইলেজ বাড়বে। গ্রীন ফুয়েল ও বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হবে।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, ধরা হচ্ছে ৫১ লক্ষ হালকা মোটর ভেহিকেল রয়েছে যা ২০ বছরের বেশি পুরনো। তাছাড়া আরও ৩৪ লক্ষ হালকা মোটর ভেহিকেল রয়েছে যাদের বয়স ১৫ বছরের বেশি। তাছাড়া ১৭ লক্ষ মাঝারি এবং ভারী মোটর ভেহিকেল রয়েছে যেগুলি ১৫ বছরের বেশি পুরনো এবং কোনরকম ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.