কলকাতা: জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ইরফান খান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন গত বছরের এপ্রিলে। নিউরো এন্ডোক্রাইন টিউমারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।দীর্ঘ চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ফিরে এসে আংরেজি মিডিয়াম ছবিতে অভিনয় করেন। কিন্তু তারপর ঘনিয়ে আসে কালো মেঘ, কোলোন ক্যানসারে আক্রান্ত হন অভিনেতা । তাঁর অভিনীত প্রতিটি ছবি আজও দর্শকের মনে একই রকম উজ্জ্বলভাবে বিরাজমান।

স্ল্যামডগ মিলোনিয়ার, দ্য এমেজিং স্পাইডার ম্যান,তালওয়ার,জজবা ,নিউ ইয়র্ক ,‘করীব করীব সিঙ্গল’, ‘লাঞ্চ বক্স’, ‘পিকু’, ‘হায়দার’, -এ নিজের অভিনয়ে তিনি মুগ্ধ করেছিলেন সিনেপ্রেমীদের।

তাঁর অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল বিনোদন জগতে। তাঁর মৃত্যুর এক বছরের মাথায় নেটফ্লিক্সে দেখা যাবে ‘ডুব- নো বেড অফ রোজেস’, এই ছবির গল্পতেই উঠে এসেছিল, মৃত্যু সব ফিরিয়ে দেয়। ভালবাসা, সম্মান সব কিছু। আর সেই কথা অভিনেতা ইরফান খানের মৃত্যুর পর আজকে বড়ই প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে ।

এ ছবির গল্প সম্পর্ক ভাঙা গড়ার। ভালোবাসা ও যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে নিজেকে নিজের ভালোবাসাকে পাওয়ার গল্প ডুব। একজন বিবাহিত পুরুষ যদি তাঁর মেয়ের বন্ধুর প্রেমে পড়ে,আর তারপর যদি নিজের পুরোনো সংসার ভেঙে সেই মেয়েটিকে নিয়ে নতুন করে সংসার গড়ে তোলে, তাহলে সম্পর্কের সেই ভাঙা-গড়ার মধ্যে নিজের মনের অতল গভীরে ডুব দিলে কী পাওয়া যাবে, কোন কোন পরিস্থিতির যন্ত্রণায় জর্জরিত হতে থাকবে সে, তাঁদের অন্তরের শুরু থেকে শেষের সুর বেসুরের যে টাল মাটাল হয়, তার পরিণতিটাই বা কী তারই উত্তর পাওয়া যাবে ছবিতে।

ছবির পরিচালনা করেছেন ওপার বাংলার বিখ্যাত পরিচালক মোস্তাফা সরয়ার ফারুকী।বাংলাদেশের এই ছবিটিতে ইরফানের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন নুসরত ইমরোজ, তিষা ও পার্ণো মিত্র। ডুব ছবিতে জাভেদ হাসানের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন প্রয়াত বলিউড অভিনেতা ইরফান খান ।মৃত্যু যে সবসময় সব কিছু নিয়ে যায় না, অনেক সময় কিছু দিয়েও যায় এই ছিল ডুব ছবির বক্তব্য।

হিরো নয় বরং অভিনেতা ইরফান খান ছিলেন আছেন ও থাকবেন মানুষের হৃদয়ে বেঁচে। তাঁর সহজ কথা বলা অকৃত্তিম হাসি আজও তাকে আমাদের অন্তরে অমলিন করে রেখেছে। তাই ডুবের সাথে দর্শক আরও একবার ডুব দেবে ইরফান খানের স্মৃতিতে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।