হলদিয়ায় মোদীর অভিযোগ
রাজ্য দীর্ঘদিন ধরেই পিএম কিষাণ সম্মান নিধি রাজ্যে লাঘু করতে চালবাহানা করেছে। সেপ্টেম্বরে এব্যাপারে সম্মতিসূচক চিঠি যায় কৃষিমন্ত্রকে। যদিও তখন দাবি করা হয়েছিল টাকা কেন্দ্র রাজ্যের হাতে দিক। কিন্তু তখন কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় কেন্দ্রই সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেবে। এরপর সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করে রাজ্য সরকার। এব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী মোদী অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার মাত্র ছয় হাজার কৃষকের নামে তালিকা তৈরি করতে পেরেছে। কিন্তু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত না জানানোয় টাকা দেওয়া যাচ্ছে না।
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী
এদিন বাজেট নিয়ে ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের জবাব দেন। তিনি বলেন, মোদী মিথ্যা কথা বলছেন। মিথ্যা কথা বলা মোদীর অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিদিন ওরা বলছে, কৃষকরা পাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ডেটা দাওনি, তাই করা যায়নি। তিনি বলেন, ডেটা দাওনি, তাই করতে পারিনি। সঙ্গে তিনি বলেছেন, ডেটা দাও, ভেরিফাই করে দেব। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ ওরা স্টেট পোর্টালে কৃষকদের হিসেব দেয়নি। নিজেদের পোর্টালে আলাদা করে হিসেব দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, কেন্দ্র ৬ লক্ষ কৃষকের নামের তালিকা দিয়েছে। তারমধ্যে আড়াইলক্ষের সার্ভে করে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, প্রতিদিন একলক্ষ করে সার্ভে করে দিতে পারবেন তাঁরা।
কিষাণ সম্মান নিধি নিয়ে নতুন দাবি
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বিধানসভায় কিষাণ সম্মাননিধির পরিধি আরও বাড়ানোর কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, বর্তমানে কেন্দ্রের প্রকল্প অনুযায়ী ২ একর জমি যাঁদের আছে তারা এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার চায় এই প্রকল্পের আওতায় আসুক ভাগচাষী এবং ক্ষেতমজুররাও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য অন্য রাজ্যের থেকে এই রাজ্যে ভাগচাষী এবং ক্ষেতমজুরের সংখ্যা বেশি। এব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের কৃষক বন্ধু প্রকল্পে যাঁদের এক কাঠা জমি আছে তাঁরাও সুবিধা পান।
বাংলাই টার্গেট
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, বাংলা ছাড়া কোনও কথা নেই। বাংলাই এখন টার্গেটে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। নির্বাচনের সামনে বাংলার প্রতি প্রীতি বেড়েছে ওদের। এত নির্দয় ও নিষ্ঠুর কেন্দ্রীয় সরকার তিনি দেখেননি বলেও মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আম্ফানে দুর্নীতি প্রসঙ্গে মমতা বলেন, আম্ফানের মোকাবিলায় ৯৯ শতাংশ লোক ভালভাবে কাজ করেছে। আম্ফানের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টে কেন্দ্র অগ্রিম টাকা দিলেও, কোনও বাড়তি টাকা দেয়নি।