ব্যাপক ক্ষতি তপোবন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে
এদিকে রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ, চামোলি জেলার জোশীমঠ থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে পেঙ্গ গ্রামের কাছে ভেঙে যায় নন্দাদেবী হিমবাহ। হড়পা বানের মুখে পড়ে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়ে তপোবন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। ভেঙে পড়ে বিষ্ণুগড় জল বিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ। আটকে পড়ে মৃত্যুর মুখে তলিয়ে যান বহু কর্মী। এমনকী তপোবনের রাইনি এলাকায় তুষারধসের অভিঘাতে আংশিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঋষিগঙ্গা জল বিদ্যুত প্রকল্পও।
১৮টি মৃতদেহ উদ্ধার
এদিকে পর্যটকদের ভরা মরশুমে হরিদ্বার-হৃষিকেশে হড়বা বানের কারণে গঙ্গার জলস্তর আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেরাদুনেও জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। বিষ্ণুপ্রয়াগ, জোশীমঠ, কর্ণপ্রয়াগ, রুদ্রপ্রয়াগ, ঋষিকেশ ও হরিদ্বারে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। এদিকে চামোলি জেলার পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১৪টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও অসমর্থিত সূত্রে খবর সংখ্যাটা আসলে ১৮।
২০০ জনের বেশি মানুষ নিখোঁজ
অন্যদিকে বিপর্যয়ের শুরু থেকেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে একযোগে উদ্ধারকাজে নামে ভারতীয় সেনা। স্থানীয় প্রশাসেনর সঙ্গে উদ্ধারকাজে যোগ দেয় আইটিবিপি। এদিকে এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৭০ জন নিখোঁজ বলে দাবি আইটিবিপি-র। যদিও সংখ্যাটা আদপে ২০০-বেশি বলেই দাবি অনেকের।
টানেলে আটকে ৩০
সূত্রের খবর, হড়পা বান আছড়ে পড়ার সময় তপোবন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করছিলেন ১৪৮ জন এনটিপিসি কর্মী। ২২ জন কাজ করছিলেন ঋষিগঙ্গায়। তাদের মধ্যে সিংহভাগ মানুষই এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে ১৬ জনকে গতকালই একটি নির্মীয়মান সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করা হলেও এখনও ৩০ জন অপর একটি টানেলে আটকে রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। রাতভরের চেষ্টার পরেও তাদের এখনও উদ্ধার করা যায়নি বলে জানা যাচ্ছে।
সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ
অন্যদিকে অপর একটি নির্মীয়মান সুড়ঙ্গে ১২ জন কর্মী আটকে পড়লে ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর সাহায্যে ইতিমধ্যেই তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাস্থলে এখনও পর্যন্ত বিপর্যয় মোকাবিলার চারটি বিশেষ দল কাজ করছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে উত্তরাখণ্ড বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি এক বার্তায় সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।