খেলাশ্রীর অনুষ্ঠান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী
ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ রায়কে সঙ্গে নিয়ে এদিন বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। সেখানে তিনি খেলা ও ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য আর্থিক অনুদান তুলে দেন। এই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, যেসব প্রাক্তন খেলোয়াড়দের বয়স ৬০ বছরের বেশি, তাঁদেরকে মাসে এক হাজার টাকা করে পেনশন দেওয়া হবে। প্রাক্তন খেলোয়াড়দের সম্মান দিতেই এই কর্মসূচি বলে জানিয়েছেন তিনি। এইবছরে রাজ্যের ২৬ হাজার ক্লাবকে ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
ভার্চুয়াল মোডে জলশ্রীর উদ্বোধন
এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়াল মোডে জলশ্রীর উদ্বোধন করেন। চন্দননগরের স্ট্র্যান্ডে রাজ্য পর্যটন দফতরের অধীনে অকটি হাউজ বোট তৈরি করা হয়েছে, তার নাম জলশ্রী। গঙ্গায় ভাসমান অবস্থায় এটি একটি এসি রেস্তোরাঁ। কলকাতায় মিলেনিয়াম পার্কের কাছে যেমন ফ্লোটেল রয়েছে, ঠিক তেমনই চন্দননগরের স্ট্র্যান্ডে রাখা হয়েছে জলশ্রীকে। তবে এটি ফ্লোটেলের থেকে ছোট। চন্দননগরের স্ট্র্যান্ড সারাবছরই জমজমাট থাকে। সেখানে রয়েছে বসার জায়গা, জগিং ট্র্যাক। শুছু চন্দননগরই নয়, আশপাশের এলাকার বহু মানুষ বিকেলে এখানে ভিড় করেন। তাই সরকারের আশা প্রকল্পটি লাভজনক হবে। মুখ্যমন্ত্রী এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে চন্দননগরের আলো হাবেরও উদ্বোধন করেছেন। সেখানে আলোক শিল্পীদের জন্য রয়েছে কমন ফেসিলিটি সেন্টার।
আগে ব্যর্থ হয়েছিল এই ধরনের প্রকল্প
ফ্লোটেলকে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে উত্তর ২৪ পরগনার টাকিতেও ভাসমান রেস্টোরাঁ শুরুর চেষ্টা করেছিল স্থানীয় প্রশাসন। কেনা হয়েছিল একটি পুরনো ভেসেল। কিন্তু কোনও এক অজানা কারণে কাজ শুরু হয়নি। ফলে সেটি এখন পাড়েই কাত হয়ে পড়ে রয়েছে।
সরকারের জলশ্রী প্রকল্প রয়েছে কৃষকদের জন্য
জলশ্রী নামটা অবশ্য নতুন কিছু নয়। খরার সময় কৃষকদের সহায়তা করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জলশ্রী প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। জল সংরক্ষণ এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতেই নিয়েছিলেন উদ্যোগ। যা নিয়ে তৃণমূলেরক তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারও করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল বাংলার সরকার সার্বিক উন্নয়ন সুনিশ্চিত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করছে।