বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত দুই বিধায়কের
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে উত্তর বনগাঁ ও নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং। এদিন তাঁদের প্রথমে নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে বসে থাকতে দেখা যায়। তারপরেই দুই বিধায়কের দলবদল নিয়ে জল্পনা ছড়ায়। এদিন বিশ্বজিৎ দাস মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়ে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। উন্নয়নমূলক কাজের ব্যাপারে কথা বলতেই তাঁরা গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন দুই বিধায়ক। এদিন দুই বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে ছিলেন প্রায় ২০ মিনিটের মতো। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে পার্থ ভৌমিক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এব্যাপারে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং ফিরহাদ হাকিম দলবদলের জল্পনা উড়িয়ে দেননি বলেই জানা গিয়েছে। এদিন বিধানসভা থেকে বেরনোর সময় সুনীল সিংকে ভি-চিহ্ন দেখান।
বিজেপিতে যোগ দিলেও সক্রিয়া থাকতে দেখা যায়নি
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পরেই বনগাঁ উত্তরে তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এবং নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। নোয়াপাড়ার বিধায়ক আবার পরিচয়ে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং-এর আত্মীয়। দুই বিধায়ককেই বিজেপিতে সেরকমভাবে সক্রিয় থাকতে দেখা যায়নি। বিজেপি বিধায়করা বিধানসভায় জয় শ্রীরাম স্লোগান দিলেও তাতে তাল মেলাতে দেখা যায়নি সুনীল সিংকে। সূত্রের খবর অনুযায়ী দুই বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জল্পনা উড়িয়ে দিলেও, বিজেপিতে সমন্বয়ের অভাবের কথা বলেছেন। অন্যদিকে বিশ্বজিৎ দাসের ক্ষোভ মূলত উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে।
দায় সারা কথা অর্জুনেরও
এদিন বিশ্বজিৎ দাস ও সুনীল সিংকে নিয়ে দলবদলের জল্পনা ছড়ানোর পরেই সংবাদ মাধ্যমের এব্যাপারে বলতে গিয়ে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, তিনি এব্যাপারে কিছু বলতে পারবেন না। সুনীল সিং তাঁর আত্মীয়, এব্যাপারে অর্জুন সিং বলেন, এখন বাবা, ছেলে আলাদা থাকে। আর তিনি (অর্জুন) বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন লোকসভা নির্বাচনের আগে। সুনীল সিং বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন লোকসভা নির্বাচনের পরে। সেই কথাও উল্লেখ করেন অর্জুন সিং।
ভোটের আগেই তৃণমূলে বিজেপির ৭ সাংসদ, বলেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়
প্রায় মাসখানেক আগে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেছিলেন, একাধিক বিধায়কের সঙ্গে বিজেপির ছয় থেকে সাতজন সাংসদ তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছেন। তিনি আরও বলেছিলেন মে মাসের প্রথম সপ্তাহের আগে এই যোগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেছিলেন তৃণমূল থেকে যেসব বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই ফিরে আসার জন্য লাইন দিচ্ছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া দুই বিধায়কের বৈঠকের পর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাবিই ফলতে শুরু করছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।