কলকাতা: গোকুলাম কেরালাকে হারিয়ে চলতি আইলিগে নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নিল মহামেডান স্পোর্টিং। দক্ষিণের ক্লাবটিকে ২-১ গোলে হারিয়ে ছ’ম্যাচ পর লিগ তালিকায় তৃতীয়স্থানে উঠে এল সাদা-কালো শিবির। কল্যাণী স্টেডিয়ামে এদিন ব্ল্যাক-প্যান্থার্সদের হয়ে দুই অর্ধে দু’টি গোল করেন জন চিডি এবং আশির আখতার। সেয়ানে সেয়ানে লড়াই চালালেও ৭৬ মিনিটে কেরালার হয়ে শরিফ মুখাম্মদের গোলটি কাজে আসেনি।
নেরোকার বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র ম্যাচের একাদশে তিনটি পরিবর্তন আনে কলকাতার দলটি। জয়ের সরণিতে ফিরতে মরিয়া সাদা-কালো শিবির এদিন এগিয়ে যেতে পারত ম্যাচের দশ মিনিতেই। কিন্তু হিরা মন্ডলের বুলেট শট ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হলে গোলের প্রতীক্ষা দীর্ঘায়িত হয় জোসে হেভিয়ার দলের। ১৭ মিনিটে পালটা এমিল বেনির থ্রু ধরে পুরনো দলের বিরুদ্ধে গোল করার জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিলেন গোকুলাম স্ট্রাইকার ফিলিপ আদজা। কিন্তু সময়মতো এসে কিংসলে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন মহামেডানকে। আক্রমণ – প্রতি আক্রমণে এগিয়ে চলা ম্যাচে প্রথম গোলের দেখা মেলে বিরতির চার মিনিট আগে।
৪১ মিনিটে ফয়জল আলির বাড়ানো থ্রু ধরে গোকুলাম কেরালার ডেডলক ভাঙেন জন চিডি। একমাত্র গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মহামেডান। দ্বিতীয়ার্ধে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসে কেরালার দলটি। শুরুতেই সেটপিসের সুযোগ নিয়ে বিপক্ষ গোলমুখে হানা দেয় তারা। কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকায় এযাত্রায় রক্ষা পায় সাদা-কালো। ৫৮ মিনিটে ক্লোজ রেঞ্জ থেকে ফয়জল আলির একটি হেড নিজেকে দক্ষতার শীর্ষে নিয়ে গিয়ে সেভ করেন কেরালা গোলরক্ষক উবেদ। নইলে তখনই ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারত ব্ল্যাক-প্যান্থার্সরা। তবে অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হয়নি।
৬৭ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে তোলা গনি আহমেদ নিগমের একটি ক্রস আশির আখতারের জন্য সাজিয়ে দেন সেবাস্তিয়ান থাংমুয়ানসাং। সাজানো বল থেকে দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করতে কোনও ভুল করেননি আশির। ন’মিনিট বাদে আফগান মিডফিল্ডার শরিফ মুখাম্মদ দূরপাল্লার কার্লিং শটে ব্যবধান কমালে ম্যাচে ফেরে গোকুলাম। সমতা ফেরাতে মরিয়া গোকুলাম সাদা-কালো রক্ষণে চাপ বজায় রেখে চলে ম্যাচের শেষ অবধি। শেষদিকে নাওচা সিং’য়ের একটি প্রয়াস দুরন্ত রিফ্লেক্সে রক্ষা করেন মহামেডান গোলরক্ষক শুভম রায়। আর এতেই তিন পয়েন্ট নিশ্চিত হয় কলকাতা জায়ান্টদের। এই জয়ের ফলে ছয় ম্যাচ থেকে ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করে তিনে উঠে এল ব্ল্যাক-প্যান্থার্সরা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.