নয়াদিল্লি : এই প্রথম প্রকাশ্যে এল বিশেষ তথ্য। কীভাবে মানব দেহ থেকে আরেক মানব দেহে সংক্রমণ ছড়ায় ভাইরাস, তার তথ্য পেলেন গবেষকরা। সেই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। মানব শরীরের বিভিন্ন কোষকে আশ্রয় করে জাল বিস্তার করে কোনও ভাইরাস। যেমন পোলিও ভাইরাস বা সাধারণ ফ্লুয়ের ভাইরাস। একই ঘটনা ঘটায় করোনা ভাইরাসও।

৮ই জানুয়ারি পিএলওএস প্যাথোজেন জার্নালে প্রকাশিত এক রিপোর্টে অধ্যাপক পিটার স্টকলে জানান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই গবেষণা। কারণ ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া আটকাতেপারলে , বহু রোগ আটকানো সম্ভব হবে। করোনার মতো মহামারি আটকানো সম্ভব হবে। স্টকলের এই বক্তব্যকে আরেক গবেষক রেইডন ওয়ারক সমর্থন করেছেন। তাঁর মতে ভাইরাস বর্তমানে বেশ সক্রিয় ভুমিকা নিয়েছে। তা আটকানো জরুরি। তাই এই গবেষণা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

করোনা ভাইরাস কীভাবে ছড়াচ্ছে, সে নিয়েও গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। বোস্টন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা সহ অনেকে মার্কিন ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) দ্বারা অনুমোদিত প্রায় ১৮টি ওষুধ আবিষ্কার করেছেন। এই ড্রাগগুলি কোনও ব্যক্তি করোনায় সংক্রামিত হওয়ার পর এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার সম্ভাবনা নতুন করে তৈরি করতে পারে।

বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে এর মধ্যে পাঁচটি ওষুধ মানুষের ফুসফুসের কোষগুলিতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণকে ৯০ শতাংশেরও বেশি হ্রাস করতে পারে। এই গবেষণা মলিউকুলার সেল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বিজ্ঞানীরা একসঙ্গে কয়েক হাজার ফুসফুসের কোষকে SARS-CoV-2 ভাইরাসে সংক্রামিত করেছিলেন। সংক্রমণের পর কোষগুলিতে কী কী ঘটে তা বোঝার জন্য এই গবেষণা করেন তাঁরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই কোষগুলি আমাদের দেহের মধ্যস্থ জীবিত, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে সম্পর্কিত কোষগুলির মতো নয়। কিন্তু তার কাছাকাছি।

বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় (বিইউ) এর অধ্যয়ন সহ-লেখক এবং ভাইরোলজিস্ট এলকে মুহলবার্গার বলেছেন, এর অস্বাভাবিকত্ব হল ভাইরাসটি ফুসফুসের কোষগুলিকে সংক্রমণের ঠিক এক ঘণ্টা পরে সেগুলি দেখা হয়েছে। সংক্রমণের সময় ভাইরাসটি এত তাড়াতাড়ি কোষগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছিল যে তা দেখে বিজ্ঞানীরাও শিহরিত হয়েছিলেন। গবেষকদের মতে, “ভাইরাস ফুসফুসের কোষগুলির যেন পাইকারি হারে পুনর্নির্মাণ করছিল।” বিইউর গবেষণার অপর সহ-লেখক অ্যান্ড্রু এমিলি বলেছিলেন, “ভাইরাসটি যে হারে কোষগুলিকে সংক্রামিত করছিল তা রীতিমতো অবাক করে দেয়।”

এই গবেষণা করেছেন ইলেকট্রন মাইক্রোস্কপি, ম্যাথামেটিক্যাল বায়োলজি ও ভাইরাস গবেষকরা। সাধারণ ফ্লু বা ঠান্ডা লাগার ক্ষেত্রেও একই উপসর্গ দেখা যায়। সিজন চেঞ্জের সময় বাতাসে ভাইরাসের সক্রিয়তা বেড়ে যায়। আচমকা তাপমাত্রার পরিবর্তন হয় বলে শরীর তা মানিয়ে নিতে সময় নেয়। সেই সুযোগে হামলা চালায় ভাইরাস। ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে সর্দি ঘটায় হিউম্যান রাইনোভাইরাস (এইচআরভি)।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।