কলকাতা: এক পলকে একটু দেখা আরও একটু বেশি হলে ক্ষতি কী ? ক্ষতি নেই তবে এটাই যদি ‘পলক’ না হয়ে একটা ‘মিসড কল’ হয়ে যায়,তাহলে কেমন হয় ?
এই প্রশ্নের উত্তর দেবে কৃষ্ণ-লীলা। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মদ্যপ বাবার ছেলে কৃষ্ণ। বাবা যেহেতু কোনও কাজ করে না তাই সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব কৃষ্ণই নিয়েছে। দিনরাত এক করে পুলকার চালিয়ে যখন কোনওমতে সংসার চালাচ্ছে কৃষ্ণ তখন তাঁর জীবনে দমকা হওয়ার মতন প্রবেশ ঘটে লীলার।
জীবনের আগেও লীলা প্রবেশ করে কৃষ্ণের ফোনে। কলেজ পড়ুয়া লীলা বন্ধুদের দেওয়া বুদ্ধিতে সবসময়েই অচেনা নম্বরে মিস কল দিতে থাকে সে। এই আশায় যদি কেউ তাঁর ফোনে একটু রিচার্জ করিয়ে দেয়। তাই এ প্রেম চোখে চোখে নয়। গলায় গলায় হয়েছে।
মিস কলের মাধ্যমে পরিচয় হয় দু’জনের । শুধুই ফোনের আলাপচারিতা। কৃষ্ণর একঘেয়ে জীবনে লীলার সঙ্গে কথা বলাটা তাঁর নিত্য অভ্যাসে পরিণত হয়।ওই ফোঁটায় যেন ওর চালিকা শক্তি হয়ে ওঠে।সারাদিনের সব খারাপ লাগা যন্ত্রনা ভুলিয়ে দেবার ওষুধ হয়ে ওঠে লীলার সঙ্গে কথা বলা।কিন্তু তখনই হঠাৎ ঘেঁটে যায় এই মিষ্টি সম্পর্ক।
আচমকাই অপহরণে লীলা মিসিং। আর এই অপহরণের জন্য, লীলার কল-লিস্ট ঘেঁটে কৃষ্ণর নম্বর পায় পুলিশ। কৃষ্ণকেই সন্দেহ করতে থাকে পুলিশ। কীভাবে নিজেকে বাঁচাবে কৃষ্ণ? কৃষ্ণ কি পারবে নিজেকে নিরপরাধী প্রমান করতে? এই টালমাটাল পরিস্থিতি উত্তাল অবস্থার পরিণতি কী সেই উত্তর মিলবে,২৬ ফেব্রুয়ারি।
কারণ মুক্তি পেতে চলেছে,পরিচালক রবি কিনাগীর (Ravi Kinagi), ছবি ‘মিস কল’ .যেখানে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ,সোহম চক্রবর্তী (Soham Chakraborty) এবং ঋত্বিকা সেন (Rittika Sen) ট্রেলার দেখে বোঝা যাচ্ছে ,প্রেমের কাহিনির সাথে সাসপেন্সের ব্লেন্ডিং করে ‘মিস কল’ বানিয়েছেন পরিচালক রবি কিনাগী (Ravi Kinagi)।
কৃষ্ণ ও লীলার চরিত্রে সোহম ও ঋত্বিকা ছাড়াও ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন সুপ্রিয় দত্ত, স্বাগতা বসু, রেশমি সেন, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, প্রদীপ ধর, শুচিস্মিতার মতো শিল্পীরা। সংগীত পরিচালনার দায়িত্বে স্যাভি। চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন এন কে সলিল। সিনেমাটোগ্রাফার মুরলী ওয়াই কৃষ্ণা।ছবির শুটিং হয়েছে কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকাতেই। রবি কিনাগির পরিচালনায় বেশিরভাগ কমেডি ছবিতে অভিনয় করেছেন সোহম। রবি কিনাগীর সঙ্গে আবারও কাজ করতে পেরে অভিভূত নায়িকা ঋত্বিকাও।এর আগে রবি কিনাগীর পরিচালনায় জিও পাগলা ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন সোহম-ঋত্বিকা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.