মালাপ্পুরম: করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে প্রায় এক বছর বন্ধ ছিল স্কুল। লকডাউন কেটে যাওয়ার পরও স্কুল খোলা নিয়ে দোটানায় ছিল একাধিক রাজ্য়। শেষমেশ করোনার প্রকোপ একটু কমার পর স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেয় একাধিক রাজ্যের সরকার। কেরলেও খোলে স্কুল। আর স্কুল খোলার প্রথমদিনই করোনায় আক্রান্ত হল স্কুলের ১৯০ জন পড়ুয়া। পাশাপাশি ৭০ জন শিক্ষক শিক্ষিকার শরীরেরও বাসা বাঁধল এই ভাইরাস। ঘটনাটি ঘটেছে মালাপ্পুরমের দুটি সরকারি স্কুলে।
জেলার স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, একটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫০ জন ছাত্রছাত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ওই স্কুলেরই ৩৪ জন শিক্ষক শিক্ষিকাও করোনায় আক্রান্ত। রবিবার তাদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসার পর এই খবর জানা যায়। অন্যদিকে পোন্নানি এলাকার একটি উচ্চ বিদ্য়ালয়ে ৩৯ জন পড়ুয়া ও ৩৬ জন শিক্ষক শিক্ষিকা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারি সূত্রে এও খবর, গত সপ্তাহে এই দুটি স্কুলের মধ্যে একটি স্কুলের একজন করোনায় আক্রান্ত হয়। তারপরই স্কুলের ৬০০ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায় ওই পড়ুয়ার সহপাঠীরা, অর্থাৎ গোটা দশম শ্রেণি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
দুটি স্কুলকে ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে সতর্ক করা হয়েছে। স্কুলের পড়ুয়াদের অতিরিক্ত সতর্কতা নিতে বলা হয়েছে। করোনার নিয়ম যাতে মানা হয়, তা নিয়ে কঠোর নির্দেশ জারি হয়েছে। আপাতত স্কুল দুটি বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত স্কুল খোলার কোনৃও সম্ভাবনা নেই।
সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে দেশজুড়ে এখনও সুরক্ষাবিধি মেনে চলা একান্তভাবে জরুরি বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই কাজ করছে। করোনাকালে এক মাস আগেই সতর্কতামূল ব্যবস্থা নিয়ে খুলে গিয়েছে স্কুল। একাধিক রাজ্য়ে ক্লাস করছে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা। কঠোর সুরক্ষাবিধি মেনে ওড়িশায় সোমবার থেকে চালু হয়েছে নবম ও একাদশ শ্রেণির ক্লাস। তবে আপাতত নবম ও দশম শ্রেণির ক্লাস চলবে সকাল সাড়ে ছটা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত। সপ্তাহে ছদিন ক্লাস হবে সকালের দিকেই। আপাতত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এভাবেই চলবে পঠনপাঠন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.