কেরলে সবরীমালা ইস্যু নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেরলে সবরীমালা ইস্যু নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। এই ইস্যু নিয়ে ক্ষমতায় থাকা বাম জোটকে অস্বস্তিতে ফেলতে উঠে পড়ে লেগেছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ। রবিবার এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানান কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চণ্ডি।
বাম জোটের সরকারকে চ্যালেঞ্জ কংগ্রেসের
এদিন ওমেন চণ্ডি বাম জোটের সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রশ্ন তোলেন, 'সবরীমালা ইস্যুতে সিপিআইএম এবং কেরলের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের মতামত ঠিক কী? তাঁরা কি ধর্মপ্রাণ ভক্তদের সঙ্গে রয়েছেন? তাঁদের কি দম আছে এটা বলার যে তাঁরা ভক্তদের সঙ্গে রয়েছেন? মুখ্যমন্ত্রী কি নিজের মিথ্যে বিদ্রোহী মুখোশ ছেড়ে বের হতে পারবেন?'
সবরীমালা ইস্যুকে ব্যবহার করে বিধানসভা নির্বাচন জিততে চাইছে কংগ্রেস
এদিকে কেরল বিধানসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দল নেতা রমেশ চেন্নিথালা এর আগে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি ৬২০ কিলোমিটার মহিলাদের মানব শৃঙ্খল তৈরি করিয়েছিলেন সবরীমালাকে ঘিরে। ২০১৯ সালে এই ই্যসুতেই নেস্তানাবুদ হয়েছিল বাম জোট। যার জেরে লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছিল কেরলের ক্ষমতাশীন জোটের। তাই সেই ইস্যুকেই ফের ব্যবহার করে বিধানসভা নির্বাচন মাত করতে চাইছে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন
এদিকে এই বিষয়ে রাজনীতি করার জন্যে কংগ্রেসের সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তিনি বলেন, 'প্রথম থেকেই সবরীমালা ইস্যুতে রাজনীতি করার ইচ্ছে ছিল কংগ্রেসের। আৎ ওরা এটাই করে যাচ্ছে।' এদিকে এই ইস্যুতে বাম জোটের মনোভাব জানতে চাইলে বাম নেতা এম গোবিন্দ বলেন, 'সুপ্রিমকোর্টের বৃহত্তম বেঞ্চের রায় আসুক। আমরা সেটাই মেনে নেব।' এদিকে বামজোটকে চাপে ফেলতে কংগ্রেস ঘোষণা করে যে সরকারে এলে ভক্তদের ধর্মীয় ভাবাবেগকে রক্ষা করতে তারা আইন আনবে।
ময়দানে নেমেছে বিজেপিও
এদিকে এই ইস্যুতে বিজেপি কংগ্রেস, সিপিএম উভয়য় পক্ষকেই আক্রমণ শানিয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে সুন্দেরণ বলেন, 'দুটো দলই এই ইস্যুতে দ্বিচারিতা করছে। তারা তাদের আগের মত থেকে সরে এসে মানুষের মন পেতে চাইছে। এর আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি ভক্তদের বিরুদ্ধে। তারা মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে।'