চেন্নাই: দিল্লিতে বেরে ওঠা হলেও জন্ম উত্তরখণ্ডে৷ স্বাভাবিকভাবেই দুর্দিনের জন্মভূমির পাশে দাঁড়ালেন ভারতীয় দলের এই ক্রিকেটার৷ রবিবার আচমকা তুষারধসে বদলে গিয়েছে দেবভূমির ছবিটা৷ জলের স্রোতে ভেসে যায় ঋষিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করতে থাকা ১৫০ জনের বেশি শ্রমিক৷ ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে চেন্নাই টেস্টের ম্যাচ-ফি দান করলেন ঋষভ পন্ত৷
এই মুহূর্তে চেন্নাইয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলছেন পন্ত৷ রবিবার ম্যাচের পর খবর পেয়ে ম্যাচ ফি দান করার কথা টুইটারে জানান টিম ইন্ডিয়ার এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান৷ উত্তরাখণ্ডের ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন পন্ত৷ টুইটারে তিনি লেখেন, “Deeply pained by the loss of life in Uttarakhand. Would like to donate my match fee for the rescue efforts and would urge more people to help out.”
রবিবারের ঘটনায় ২০১৩ সালের কেদারনাথ বিপর্যয়ের স্মৃতি টাটকা হয়ে ওঠে৷ আট বছর আগে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভেসেছিল দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা। রবিবার যোশীমঠেও যেন তারই প্রতিচ্ছ্ববি। খবর পাওয়া মাত্রই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করে দেয় ভারতীয় সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলাবাহিনী। জানা যায় হিমবাহ ভেঙে পড়াতেই এই দুর্যোগ। এই হিমবাহ তৃতীয় বৃহত্তম নন্দাদেবী পর্বতে অবস্থিত। এটি গাড়োয়াল হিমালয়ের একটি অংশ। পশ্চিমে ঋষিগঙ্গা উপত্যকা ও পূর্বে গোরিগঙ্গা উপত্যকার মাঝে চামোলি জেলায় রয়েছে এই পর্বত। আর হিমবাহের অবস্থান হল নন্দাদেবী অভয়ারণ্য ও ঋষিগঙ্গার মাঝে।
প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখনও ১৭০ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ তুষারধসের ফলে ধৌলিগঙ্গা ও অলকানন্দা নদীতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তখনই জানা গিয়েছিন বাঁধ ভাঙা বন্যায় ১৫০ জন নিখোঁজ। তাঁরা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করছিলেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু করে উত্তরাখণ্ড সরকার।
উত্তরাখণ্ডে যখন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে৷ তখন চিপকে ইংরেজ বোলারদের ব্যাট হাতে শাসন করছিলেন পন্ত৷ অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয় ভারতীয় উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের৷ ৯১ রান করে আউট হন৷ পন্তের ব্যাটে ভারত লড়াই জারি রাখে৷ অস্ট্রেলিয়া সফরের পর ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও দারুণ ব্যাটিং করেন পন্ত৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.