এক্স তৃণমূলীদের যখন বিজেপিতে
বিজেপিতে এখন তৃণমূলীদের ভিড়। এক্স তৃণমূলীরাই এখন বিজেপি এক্স ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছেন। মাথায় রয়েছেন দিলীপ ঘোষ, তারপর তাঁর চারদিকে শুধুই প্রাক্তন তৃণমূলী। বর্তমানে বিজেপিতে তাঁদেরই আধিপত্য। সেই এক্স তৃণমূলীদের নিয়ে কি স্বপ্নের বাংলা গড়া যাবে, সেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন নেটিজেনরা।
বাংলায় প্রকৃত পরিবর্তন আনতে
দিলীপ ঘোষ বলেন, আমরা এমন বাংলা চাই যেখানে মানুষ নিজের মতো রাজনীতি করতে পারবে, নিজের মতো ব্যবসা করতে পারবে, সিন্ডিকেটের বাড়বাডন্ত থাকবে না, স্কুলে শিক্ষক থাকবে, হাসপাতালে ডাক্তার থাকবে, এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে, পাইপ লাইনে জল থাকবে। বাংলায় আমরা প্রকৃত পরিবর্তন আনতে চাই।
সব্যসাচীকে নিয়ে দিলীপকে সিন্ডিকেট-কটাক্ষ
দিলীপের এহেন ফেসবুক পোস্টের পরই নানা কমেন্ট পড়তে শুরু করেছে। সেখানে কেউ লিখেছেন পক্ষে, কেউ বিপক্ষে। যেমন একজন লিখেছে বিজেপির নেতৃত্বেই প্রকৃত পরিবর্তন হবে। বদলা নয় বদল হবে। ঠিক তেমনই অন্য একজন লিখেছেন, সিন্ডিকেটের প্রাণপুরুষ সব্যসাচী দত্তকে দলে নিয়ে কি সিন্ডিকেটমুক্ত বাংলা গড়া সম্ভব?
মুকুল-শুভেন্দুকে নিয়েও নিশানা দিলীপকে
আবার ঘুষ দুর্নীতির পুরোধা মুকুল রায়ও আপনার পাশে, টেট দুর্নীতির অধিকারীও আমার দলের জননেতা হয়েছেন এখন। এইসব এক্স তৃণমূল নেতাদের নিয়ে কতদূর এগোতে পারবে বিজেপি, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়। বিজেপির সোনার বাংলা এখন এইসব এক্স তৃণমূলীদের হাতে। তাই সোনার বাংলা গঠন কি আদৌ সম্ভব হবে বিজেপির হাতে বাংলার ভার উঠলে?
দিলীপ ঘোষরা এখন সংখ্যালঘু বিজেপিতে
আবার একজন লিখেছেন বিজেপি দলের নাম এখন চেঞ্জ হয়ে বাংলায় পিটিপি হয়েছে। অর্থাৎ প্রাক্তন তৃণমূল পার্টি। কেননা বঙ্গ বিজেপিতে এখন প্রাক্তন তৃণমূলীদেরই প্রাধান্য। দিলীপ ঘোষরা এখন সংখ্যালঘু। সেই কথা মনে করিয়ে একজন লিখেছেন- দিলুদা সাবধানে থাকবেন। রাহুল সিনহার বর্তমান অবস্থা দেখেই বললাম।
দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ, আবার সমর্থনও
দিলীপ ঘোষ যে পোস্ট করেছেন, তাতে পাগড়ি রয়েছে। তা নিয়ে কটাক্ষ করেছে একজন। বলেছেন বাঙালিরা আবার কবে থেকে পাগড়ি পরা শুরু করল! আবার একজন দিলীপ ঘোষের সমর্থনে লিখেছেন- মমতা বেগমের হিন্দু-মুসলিম রাজনীতির পরিবর্তন চাই। চাই সবকা সাথ সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস।