দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। এব্যাপারে বেশ কিছু প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তার থেকে দেখা যাচ্ছে ভারতের বাইরে থেকে বেশ কিছু লোক ভারতকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে। কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে ভারতের চাকেও। কেননা এরসঙ্গে দেশের ছবি জড়িয়ে রয়েছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন অসমের শোনিতপুরে, সেখানেই তিনি এইসব কথা বলেন। যাঁরা বিদেশি শক্তির পক্ষে রয়েছে, অসমের মানুষ তাঁদের ক্ষমা করবে না বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্বাসঘাতকতার পিছনে একাধিক রাজনৈতিক দল
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি চাবাগান, চা শ্রমিকের এব্যাপারে উত্তর চাওয়ার অধিকার রয়েছে। যেসব রাজনৈতিক দল বিশ্বাসঘাতকতা করছে, তাদের কাছেই এই উত্তর চাইতে হবে। বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, দেশের কিছু মানুষ এবং রাজনৈতিক দল দেশ বিরোধী শক্তিকে উৎসাহ দিচ্ছে। যা দেশের মানুষ সমর্থন করবে না। ভারতের চায়ের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছএন তিনি। প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করেন, অসমের মানুষ এই জাতীয় লোককে ক্ষমা করবেন এবং দেশের চায়ের ওপরে এই আক্রমণকে মেনে নেবেন কিনা?
উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন
শোনিতপুরের দিকিয়াজুলিতে এদিন প্রধানমন্ত্রী অসম মেলার উদ্বোধন করেন। এই প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৮২১০ কোটি টাকা। এরফলে অসমের রাস্তার পরিকাঠামোর উন্নতি হবে এবং অসমের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে সহায়তার পাশাপাশি সংযোগ স্থাপনেও সাহায্য করবে। এছাড়াও রয়েছে দুটি মেডিক্যাল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাঁর স্বপ্ন রয়েছে, প্রতিটি রাজ্যে একটি করে মেডিক্যাল ও টেকনিক্যাল কলেজ, যেগুলিতে মাতৃভাষায় পড়াশোনা করানো হবে। এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে চা-বাগানের জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দের কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের জন্য অসম সরকার যেসব প্রকল্পগুলি নিয়েছে সেগুলির কথা উল্লেখ করেন।
উত্তর-পূর্বের উন্নয়নে অসমের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শুনে এসেছে সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে। কিন্তু হিংসার ইতিহাসের কারণে অসম-সহ পূর্বের রাজ্যগুলিকে উন্নয়নের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। এখন সমগ্র উত্তরপূর্ব উন্নয়নের পথে চলেছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। এরমধ্যে অসম উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে। তিনি বলেছেন, সম্মিলিত প্রচেষাট কীভাবে ভাল ফল দেয়, তার একটা উদাহরণ হল অসম।