পাঁচটি এনডিআরএফের টিম
পাঁচটি জাতীয় বিপর্যয় প্রতিক্রিয়া বাহিনীর দল, যার মধ্যে একটি দেরাদুন ও চারটে দল দিল্লির, একত্রিত হয়েছে। এনডিআরএফের ডিরেক্টর জেনারেল এসএন প্রধান জানান, আরও চারটি দলকে প্রস্তুত করা হচ্ছে এবং দিল্লির কাছাকাছি গাজিয়াবাদের হিন্ডন বায়ুসেনার ঘাঁটি থেকে তুলে নেওয়া হবে।
জোশীমঠে আনা হচ্ছে উদ্ধারকারী দলগুলিকে
এই দলগুলিকে দেরাদুন থেকে জোশীমঠে নিয়ে আসা হচ্ছে, এটি প্রায় ২৯০ কিলোমিটার দূরে, হিমবাহ ধসের স্থান। এছাড়াও, ২০০ জন কর্মী সমন্বয়ে দুটি আইটিবিপি (ইন্দো-তিব্বতী সীমান্ত পুলিশ) টিমকে মোতায়েন করা হয়েছে এবং একই সংখ্যক এসডিআরএফ (রাজ্য বিপর্যয় প্রতিক্রিয়া বাহিনী) মোতায়েন করা হয়েছে।
ভারতীয় সেনা ঘটনাস্থলে
সেনার পক্ষ থেকে চারটে কলাম তৈরি করা হয়েছে। প্রত্যেক কলামে ১০০ জন করে সেনা রয়েছে। এছাড়াও একটি অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার ও ২টি চিতা হেসিকপ্টার কাজ করছে। এছাড়াও সি-১৩০ এবং এএন৩২ এয়ারক্রাফটের মাধ্যমে এনডিআরএফ কর্মীদের তুলে আনার কাজ চলছে।
১৫০ জন কর্মী নিখোঁজ
রাজ্য বিপর্যয় প্রতিক্রিয়া বাহিনীর ডিআইজি ঋদ্ধিম আগরওয়াল জানিয়েছেন যে ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করছিল ১৫০ জনের বেশি শ্রমিক, এই ঘটনার জেরে প্রকল্পটির ওপর সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ডে তুষারধসের কারণেই এই বিপর্যয় বলে জানা গিয়েছে। ঋদ্ধিম আগরওয়াল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিদ্যুৎ প্রকল্পের জায়গায় থাকা প্রতিনিধি আমাদের জানিয়েছেন যে এই প্রকল্পে কর্মরত ১৫০ জন কর্মীর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।'
ইন্দো–তিব্বত সীমান্ত পুলিশ উদ্ধারকাজে
আইটিবিপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘কিছু নদীর জল প্লাবিত হয়েছে এবং তা নদীর তীরবর্তী বাড়িগুলিকে তছনছ করে দিয়েছে। নিহতের সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। উদ্ধারের জন্য একশোজন আইটিবিপির কর্মী কাজে লেগে পড়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর টুইট
প্রধানমন্ত্রী টুইটে জানিয়েছেন যে তিনি অনবরত পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন এবং মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতের সঙ্গে কথা বলেছেন। মোদী টুইটে বলেন, ‘উত্তরাখণ্ডের পাশে আছে ভারত এবং দেশবাসী সকলের সুরক্ষার জন্য প্রার্থনা করছেন।'
অমিত শাহের টুইট
উত্তরাখণ্ডের এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে টুইট করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। অমিত শাহ টুইটে বলেন, ‘উত্তরাখণ্ডের প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়ে আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আইটিবিপি ও এনডিআরএফের ডিজিদের সঙ্গেও কথা বলেছি। সংশ্লিষ্ট সকল আধিকারিকরা যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে উদ্ধার কাজ করছেন। এনডিআরএফ দলগুলি উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। উত্তরাখণ্ডের এই দেবভূমিকে সব রকম সহায়তা প্রদান করা হবে।'
গুজবে পা নয়
উত্তরাখণ্ড সরকারের পক্ষ থেকে কোনও গুজবে পা দিতে বারণ করেছেন। সরকার সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছেন। হেল্প লাইন নম্বরও দেওয়া হয়েছে।
অলকানন্দ নদীর প্রবাহ স্বাভাবিক হচ্ছে
রাওয়াত জানিয়েছেন যে নন্দপ্রয়াগের ওপারে অলকানন্দ নদীর প্রবাহ স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে, এটা লক্ষ্য করে স্বস্তি পেয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘নদীর জলের স্তর এখন স্বাভাবিকের চেয়ে এক মিটার উপরে তবে তার প্রবাহ হ্রাস পাচ্ছে।'
সতর্কতা জারি
জানা গিয়েছে আকস্মিক এই ঘটনায় গ্রামের অনেক বাড়িঘরের ক্ষতি হয়েছে। এমনকী ঋষিগঙ্গা নদীর উপর তৈরি হওয়া বিদ্যুৎ প্রকল্পটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জানা যাচ্ছে সেখানে অনেক শ্রমিক কাজ করছিলেন, কারণ সেটি নির্মিয়মান ছিল। ধৌলিগঙ্গা হিমবাহ ধ্বসের কারণে তপোবনও ক্ষতির মুখে পড়েছে। সেখানের ব্যারেজও এই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। এখন এই ধ্বংসযজ্ঞে কতটা ক্ষতি হয়েছে তা পরিস্থিতি পুরোপুরি পরিস্কার নয়। বিষ্ণুপ্রয়াগ, জোশীমঠ, কর্নপ্রয়াগ, রুদ্রপ্রয়াগ, হৃষিকেশ ও হরিদ্বারে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।