লন্ডন: যে সকল দেশে মানবদেহে করোনার নয়া স্ট্রেন মিলেছে, জার্মানিতে প্রবেশের ব্যাপারে সেই সকল দেশের মানুষের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেদেশের প্রশাসন। আর সেই গেরোয় পড়ে চায়ম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় আরবি লেইপজিগের সঙ্গে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে জার্মানি প্রবেশে বাধা পেয়েছিল লিভারপুল। যদিও এতে বিপদে পড়েছিল জার্মানির দলটিই। উয়েফার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তড়িঘড়ি তারা নিরপেক্ষ ভেন্যু খুঁজতেও নেমে পড়েছিল।

১৬ ফেব্রুয়ারি ম্যাচ। তার আগে ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নয়া ভেন্যু স্থির করে উয়েফার কাছে তা জানানোর কথা ছিল লেইপজিগের। শনিবারের মধ্যেই নিরপেক্ষ ভেন্যু স্থির করে তা উয়েফাকে জানিয়ে দিল এনার্জি ড্রিংক রেডবুল কোম্পানির অধীনস্থ বুন্দেসলিগা ক্লাবটি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে লেইপজিগ বনাম লিভারপুল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্ট শহরের পুসকাস এরিনায়।

ইংল্যান্ডের ক্লাবটি তাদের ওয়েবসাইটে এবিষয়ে অনুরাগীদের জ্ঞাত করে জানিয়েছে, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় প্রথম লেগের ম্যাচটি আরবি লেইপজিগের বিরুদ্ধে লিভারপুল খেলবে বুদাপেস্টে। ১৬ ফেব্রুয়ারি, হাঙ্গেরির রাজধানী শহরের পুসকাস এরিনায় অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। কোভিডের বিধিনিষেধের কারণে জার্মানির রেড বুল এরিনায় ম্যাচটি খেলার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল রেডস’দের উপর।’ লেইপজিগও তাদের ক্লাবের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, উয়েফা এবং লিভারপুলের সঙ্গে আলোচনা করেই আরবি লেইপজিগ এই বিকল্প ভেন্যুর ব্যবস্থা করেছে।

ম্যাচটি নিতান্তই আয়োজন না করতে পারলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হত জার্মানির দলটিকে। লিভারপুলের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের হোম ম্যাচটি আয়োজন না করতে পারলে ওই ম্যাচের ফলাফল (৩-০) যেত লিভারপুলের পক্ষেই। তাই যেনতেন প্রকারে ম্যাচটি আয়োজন করতে কোমর বেঁধে নেমেছিল গতবারের সেমিফাইনালিস্টরা।

এব্যাপারে করোনা আবহে উয়েফা তাদের নির্দেশিকায় যে সংশোধনী এনেছে তা জার্মানির ক্লাবটির পক্ষে সহায়ক হয়েছে। ইউরোপিয়ান ফুটবলের গভর্নিং বডি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশিকায় জানিয়েছে, কোনও দেশে করোনার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপিত থাকায় যদি কোনও ক্লাব তাদের ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অথবা ইউরোপা লিগের নক-আউট পর্বের ম্যাচ আয়োজন না করতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে তারা নিরপেক্ষ ভেন্যুর দ্বারস্থ হতেই পারে। সেটা নিরপেক্ষ কোনও দেশেও হতে পারে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।