দেরাদুন: উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে তুষারধসের জেরে ভয়াবহ ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসারে ১৫০ জন নিখোঁজ। ইতিমধ্য়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়ত। রাজ্য সরকারের তরফে হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, পুরানো ভিডিও ছেড়ে কেউ গুজব ছড়াবেন না।

তুষারধসের খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের বিষয়ে প্রশাসন সজাগ রয়েছে। প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলায় উত্তরাখণ্ড সরকার হেল্পলাইন নম্বর জারি করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়তের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি সম্পর্কে খবর নিয়েছেন তিনি। গোটা ঘটনাটি নজরে রাখছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আপনি ক্ষতিগ্রস্থ জায়গায় আটকে থাকলে অথবা এই বিপর্যয়ের জেরে কোনও সমস্যার মধ্যে পরে সাহায্যের প্রয়োজন হলে তবে হেল্পলাইন নম্বর 1070 বা 9557444486 নম্বরে যোগাযোগ করুন।

বর্তমানে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে কাজ। টুইট করে অমিত শাহ এ কথা জানিয়েছেন। হেলিকপ্টারের মাধ্যমে চলছে উদ্ধারকাজ। শুরু হয়েছে মাইকিং। নদীর পাড়ে যাদের বাড়ি তাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

আইডিবিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০০ জওয়ান ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। ২টি টিম কাজ করছে। একটি বাঁধ থেকে স্টাফদের সরানোর কাজ করছে। বাঁধ যেখানে ভেঙেছে, সেখানে কোনও চিহ্নই আর অবশিষ্ট নেই। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের তরফে আরও টিম রওনা হয়েছে ঘটনাস্থলের দিকে। হরিদ্বার, ঋষিকেশ ও দেরাদুনে জারি হয়েছে সতর্কতা। মনে করা হচ্ছে বিকেলের দিকে হরিদ্বারে বাড়তে পারে জলস্তর। তাই সেখান থেকেও এলাকা খালি করার কাজ চলছে। তুষারধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়ি। পর্যটকদের এয়ারলিফ্ট করার চেষ্টা শুরু হয়েছে।

দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর সহ সমস্ত এজেন্সিকে এখন হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে তুষার ধসের ফলে নদীতে যেভাবে জলস্তর বাড়াতে শুরু করেছে তাতে আগামী ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে জল বের করতে হবে। তা না হলে, ক্রমাগত গঙ্গার জলস্তর বাড়তে থাকলে হরিদ্বার ও ঋষিকেশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।