মুকুল-শুভেন্দুকে গ্রেফতারির দাবিতে অমিত শাহের দরবারে কুণাল, চিঠি-পাল্টা চিঠি

মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে সিবিআইয়ের পাশাপাশি অমিত শাহকেও চিঠি লিখেছিলেন কুণাল ঘোষ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সেই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করলেন। অমিত শাহের প্রাপ্তি স্বীকারের চিঠিতে একটা হেস্তনেস্ত হবে বলে আশাবাদী তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ তথা বর্তমানে মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

মুকুল-শুভেন্দুর গ্রেফতারির দাবি কুণালের

সারদা ও অ্যালকেমিস্ট- এই দুই চিটফান্ড কাণ্ডে দুই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতারির দাবি করেছিলেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, আমার হাতে এমন এক চিঠি ও ভিডিও ক্লিপিংস এসেছে, যাতে আমার মনে হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায়ের কাছে সারদা ও অ্যালকেমিস্ট নিয়ে বেশ কিছু তথ্য রয়েছে। তাঁর সেইসব তথ্য এতদিন দেননি।

শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায়রা তথ্য লুকিয়েছেন!

কুণাল বলেন, যেহেতু শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায়রা তথ্য লুকিয়েছেন, সেহেতু তাঁদের গ্রেফতারি চেয়ে আমি একটি চিঠি লিখেছিলাম। সিবিআইয়ের পাশাপাশি অমিত শাহকেও দিয়েছিলাম সেই চিঠি। তিনি সেই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে চিঠি দিয়েছেন। আমি আসা করি এবার সারদা ও অ্যালকেমিস্ট নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত হবে।

মুকুল-শুভেন্দু এখন বিজেপিতে, তদন্তে প্রশ্ন কুণালের

প্রথমে নিরপেক্ষ তদন্ত হবে আশা করেও পরক্ষণেই সংশয় প্রকাশ করেন কুণাল। তিনি বলেন, তবে যেহেতু মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারী এখন বিজেপিতে, সেহেতু তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। এখন দলবদল করেছেন ওঁরা। তাই সংশয় তো থাকবেই তদন্ত নিয়ে। তবে আমি মাথা উঁচু করে দীর্ঘদিন ধরেই নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। সেই কারণেই আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছি।

শুভেন্দু-মুকুলকে কাঠগড়ায় তুলবে সুদীপ্তর চিঠি?

সারদা তদন্ত গত ডিসেম্বরে মোড় নেয় সুদীপ্ত সেনের জোড়া চিঠি প্রকাশ্যে আসায়। জেলে বসে প্রথম চিঠিতে সারদা কর্তা দাবি করেন, শুভেন্দু অধিকারী-মুকুল রায়সহ ৫ নেতা কয়েক কোটি টাকা নিয়েছেন তাঁর থেকে। দ্বিতীয় চিঠিতে তিনি লেখেন, মুকুল রায়ের কথাতেই তিনি কলকাতা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। মুকুল রায়ের বড় ভূমিকা ছিল আত্মগোপনের পিছনে।

সুদীপ্ত সেনের ওই জোড়া চিঠি প্রকাশ্যে আসার পর

সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের ওই জোড়া চিঠি প্রকাশ্যে আসার পর একাধিক নতুন তথ্য উঠে এসেছে। আক্রমণে শান দিয়ে চলেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সম্প্রতি সুদীপ্ত সেনের সেই চিঠির তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। এদিতে অ্যালকেমিস্ট কর্তাও গ্রেফতার হয়েছেন, ফলে সামনে এসেছে নয়া বিতর্ক।

More KUNAL GHOSH News