বাম-তৃণমূল-কংগ্রেসের গড়াপেটার ফাঁদে পড়বেন না
একুশের বাংলায় আসল পরিবর্তন আনতে হবে। বাংলার মানুষ দেখেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বাম জমানার পুনর্জন্ম হয়েছে। তাই বাম-তৃণমূল-কংগ্রেসের গড়াপেটার ফাঁদে পড়বেন না। ওঁরা ক্ষমতায় এলে রাজ্যে হিংসা-অপরাধ আর দুর্নীতিতে ছেয়ে যাবে। বাংলায় ৫০০০ কোটির প্রকল্পের সূচনা হবে। বাংলায় অনেক কর্মসংস্থান হবে, রোজগার বাড়বে এলাকার মানুষের। তাই ডাবল ইঞ্জিন সরকার দরকার বাংলায়।
পর্দার পিছনে যে খেলা চলছে সেই ফাঁদে পা
মোদী বলেন, বাম-তৃণমূল-কংগ্রেস বাংলায় লড়াই করে। আর দিল্লিতে গিয়ে জোট বাঁধে। তিনজনে একসঙ্গে চলে দিল্লিতে। বাংলায় তৃণমূল আর বামেরা করছে, কেরলে বাম-কংগ্রেস একই খেলা খেলছে। এদের থেকে সাবধান থাকতে হবে। বাংলায় বাম-কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে পর্দার পিছনে যে খেলা চলছে সেই ফাঁদে পা দেওয়া।
বাংলায় বাম-কংগ্রেসকে একটাও ভোট নয়
প্রকারান্তরে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়ে দিলেন, বাংলায় বাম-কংগ্রেসকে একটাও ভোট নয়। বাম বা কংগ্রেসকে ভোট দিলে যে তৃণমূলেরই লাভ সেই সমীকরণ সামনে এনেছেন প্রধানমন্ত্রী। ভোট কাটাকাটি না হলে তৃণমূলকে হারাতে বিজেপির সুবিধা হবে। এতদিন শুভেন্দু অধিকারীরা সরাসরি বাম-কংগ্রেসের ভোট চাইছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী তা ঘুরিয়ে বলে গেলেন।
বাম জমানার অপরাধ-হিংসা-দুর্নীতি তৃণমূলের আমলেও
মোদী বলেন, মমতাদিদি পরিবর্তনের যে আওয়াজ তুলেছিলেন ১০ বছর আগে, তার উপর ভরসা করেছিলেন বাংলায় মানুষে। কিন্তু সেই ভরসার কী প্রতিদান পেল বাংলার মানুষ। শুধু ‘নির্মমতা' ফুটে উঠেছে মমতার বাংলায়। বাম জমানার অপরাধ-হিংসা-দুর্নীতি ফের ফিরে এসেছে তৃণমূলের আমলেও।
মমতার সরকারের আত্মায় রয়েছে দুর্নীতি
মোদী বলেন, বাংলা থেকে সেই অপরাধ-হিংসা-নির্মমতা দূর করতে হবে। রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে বদলে দিতে হবে। কেননা এই সরকারের আত্মায় রয়েছে দুর্নীতি। যে সরকার বিপর্যয়ের সময়ও দুর্নীতি করে, তাকে দিয়ে কোনও উন্নতি সাধন সম্ভব নয়। গরিবদের রেশন লুঠ হয়েছে রাজ্যের শাসকদলের হাতে। কেন্দ্রের পাঠানো অর্থ নয়ছয় করেছে, তার ফল ভুগতে হবে।