নন্দাদেবীতে তুষার ধসে ধুয়ে সাফ তাপোভান জলবিদ্যুৎ প্রকল্প! যোশী মঠে বিপদসামী ছাড়াল জলস্তর

উত্তরাখণ্ডের যোশীমঠে (Joshimath ) জলের মাত্রা (water level) রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। যার জেরে চামোলী জেলায় ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে। এদিন সকালে নন্দাদেবীতে তুষার ধসের জেরে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটে। যার জেরে তাপোভান জলবিদ্যুৎ প্রকল্প (Tapovan hydel project) পুরোপুরি ধুয়ে সাফ হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় জল কমিশন।

ধুয়ে সাফ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প

এদিন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরেই উদ্ধার কাজে নামে আইটিবিপি। সাতঘন্টার চেষ্টায় এটিপিসির তাপোভান জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের টানেলে আটকে পড়া ১২ জন শ্রমিককে উদ্ধার করেন তাঁরা। কমান্ডিং অফিসার ভেনুধর নায়েক জানিয়েছেন, জলবিদ্যুৎ প্রকল্প পুরো ধুয়ে সাফ হয়ে গিয়েছে। জলবিদ্যুৎ প্রকল্প কুড়ি ফুট গভীরে চলে গিয়েছে। এদিকে এই তুষার ধসের পরে একশোর বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়ে যান। তাপোভান প্রকল্পের পাশাপাশি ঋষিগঙ্গায় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পও ধুয়ে সাফ হয়ে যায়।

উদ্ধার ১২ শ্রমিক

এদিন আইটিবিপির ২৫০ জন জওয়ান উদ্ধার কাজ শুরু করেন। আইটিবিপির তরফে জানানো হয়েছে অন্তত ৮ জন শ্রমিক পালিয়ে বাঁচতে পেরেছিলেন। এদিন আইটিবিপির তরফে জানানো হয়েছে, সকাল ১১.৩০-এ তারা উদ্ধার কাজ শুরু করেন। সন্ধে ৬.৩০ পর্যন্ত ১২ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভুননারায়ণ সিং জানিয়েছেন, সাতটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও ১ৌ২৫ জনের ওপরে নিখোঁজ।

তাপোভানের প্রায় ১৫ কিমি দূরে উদ্ধারকারী দল

তাপোভানের প্রায় ১৫ কিমি দূরে পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছে উদ্ধারকারী দল। আইটিবিপির মাউন্টেন ফোর্স এই উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে। আইটিবিপির তরফে জানানো হয়েছে, যখন তুষার ধস নামে তখন একটি টানেলে ২০ জন এবং অপর একটি টানেলে ৫০-৬০ জন কাজ করছিলেন। এখনও সেখানে ৫০ জন আটকে পড়া শ্রমিককে উদ্ধার করতে হাত লাগিয়েছে সেনাবাহিনী। রাতে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করা চ্যালেঞ্জের বলেও জানানো হয়েছে।

তুষার ধসের পরেই বেড়েছে জলস্তর

এদিন উত্তরাখণ্ডের চামোলী জেলায় নন্দীদেবী হিমবাহের একটি অংশ ভেঙে পড়ে। এরপরেই যোশীমঠের ধৌলিগঙ্গায় জলস্তর বাড়তে থাকে। কেন্দ্রীয় জল কমিশন জানিয়েছে, যোশীমঠে জলস্তর রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। জলস্তর বেড়েছে অলকানন্দাতেও। কেন্দ্রীয় জল কমিশনের চেরাম্যাম সৌমিত্র হালদার জানিয়েছেন, এদিন বেলা ১১ টা নাগাদ যোশীমঠে জলস্তর ছিল ১৩৮৮ মিটার। এদিনের এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় মনে করিয়ে দিয়েছে ২০১৩ সালের জুন মাসের কথা। সেবার কেদারনাথে ব্যাপক বন্যা দেখা দেয়। বহু পর্যটকের মৃত্যু হয়েছিল সেই বছরে। সেইবার যোশীমঠে জলস্তর পৌঁছেছিল ১,৩৮৫. ৫৪ মিটারে। যদিও সন্ধে ছটা নাগাদ জলস্তর স্বাভাবিক হয়ে যায়।

More UTTARAKHAND News