নয়াদিল্লি : ফের একবার কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে সরব হওয়া আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদের একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, যে বা যাঁরা কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে মাতামাতি করছেন, বা বিভিন্ন রকম মন্তব্য করছেন, তাঁরা আদপে এই বিক্ষোভ সম্পর্কে কিছু জানেন না। না জেনেই একাধিক মন্তব্য করছেন তাঁরা। এদিন জয়শঙ্কর আরও জানান, গ্রেটা থুনবার্গের যে টুলকিট নিয়ে তদন্ত চলছে, তা থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
সেই তদন্তের রিপোর্টের প্রেক্ষিতেই কৃষক বিক্ষোভে আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদের বক্তব্য রাখা নিয়ে সমালোচনা করছে বিদেশমন্ত্রক বলে মন্তব্য করেছেন জয়শঙ্কর। তাঁর দাবি একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, যাঁরা মন্তব্য করছেন, তাঁরা এই বিক্ষোভ নিয়ে বেশি কিছু না জেনেই আলটপকা মন্তব্য করছেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না।
এর আগে, রিহানা ও থুনবার্গের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিদেশমন্ত্রক জানায় আলোচনা চলছে। কেন্দ্র সরকারের তরফে সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে কৃষকদের দাবি দাওয়া মেটানোর। আলোচনার রাস্তা সব সময় খোলা রয়েছে। তাই আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই ধরণের কেন্দ্র বিরোধী মন্তব্যের কোনও ভিত্তি নেই। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই এমন মন্তব্য করা হয়।
নয়াদিল্লির তরফে ফোন যায় আন্তর্জাতিক পপ স্টার রিহানা, গ্রেটা থুনবার্গের কাছে। বিদেশমন্ত্রক তাঁদের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করা হয়। দেশে সম্প্রতি চলা কৃষক বিক্ষোভের সমর্থনে মুখ খোলেন এই দুই আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব। এরপরেই সরব হয় বিদেশমন্ত্রক। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সরাসরি ফোন যায় রিহানা ও থুনবার্গের কাছে।
এই ধরণের মন্তব্যকে উস্কানিমূলক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। এক বিবৃতি প্রকাশ করে বিদেশমন্ত্রক জানায় এই মন্তব্যগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তা পাওয়ার লোভে করা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে মন্তব্যকারীদের কাছে আবেদন করে বিদেশমন্ত্রক। মন্ত্রক জানায় গোটা ঘটনা বুঝে ও সব তথ্য হাতে নিয়ে তবেই যেন মন্তব্য করা হয়।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.