দিসপুর: চা বাগানের লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য সুসংবাদ। যারা এখানে কর্মরত রয়েছেন সেই শ্রমিকদের মাইনে বাড়াতে চলেছে অসম সরকার। অসমের অর্থমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা শনিবার জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার চা বাগানের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১০ দিনের মধ্যে বাড়িয়ে দেবে।
আইএএনএসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ও মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল-এর পক্ষ থেকে চা বাগানের ৭ লক্ষ ৪৬ হাজারেরও বেশি শ্রমিক বা কর্মচারীকে ৩০০০ টাকা বা তার থেকে কিছুটা বেশি টাকার প্যাকেজ দেওয়া হবে, এনিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে চূড়ান্ত আলোচনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
শ্রমিকদের বাচ্চাদের জন্য স্কুল খোলা হয়েছে
জানানো হয়েছে রাজ্য সরকার চা বাগান ও তার আশেপাশের রাস্তা নির্মাণের জন্য ১৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। একই সঙ্গে শ্রমিকদের বাচ্চারা যাতে পড়াশোনা করতে পারে সেজন্য বেশ কয়েকটি স্কুলও খোলা হয়েছে। সোনোওয়াল সরকারের নেতৃত্বে ৪৭ হাজার গর্ভবতী মহিলাদের ১২ টাকা করে দিয়েছে। একই সঙ্গে অসমে ৮০০ টি বড় চা বাগান ও ১.১৮ লক্ষ ছোট চা বাগান খোলা হয়েছে।
এপ্রিল-মে মাসে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই মুহূর্তে সরকারের নজরে রয়েছে চাবাগান। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের এবং সমাজের বিভিন্ন অংশের লোকদের জন্য আর্থিক পরিকল্পনা প্রস্তাব ঘোষণা করা হচ্ছে।
আজ অসমে মোদী
অন্যদিকে আজ অসমে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার টুইটারে তাঁর আসার প্রস্তুতির ছবি শেয়ার করে মোদী লেখেন, “অসমের মানুষের এই উৎসাহ দেখে আনন্দিত। আগামীকাল আবারও অসমে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি খুশি। অসমের সর্বাত্মক উন্নয়নের জন্য ধারাবাহিকভাবে কাজ চালিয়ে যাব।”
নিজের টুইটটিতে প্রধানমন্ত্রী কিছু ছবিও শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, অসমের মানুষ মোমবাতি দিয়ে ‘মোদী’ লিখে রেখেছেন। অনেকেই প্রদীপ জ্বালাচ্ছেন।
আজ মোদী অসমের সোনিতপুরে দুটি হাসপাতালের ভিত্তি প্রস্তর উন্মোচন করবেন। এছাড়া চালু করবেন ‘অসম মালা’ প্রোগ্রাম। অসম মালা প্রোগ্রামের ফলে রাজ্যের সড়ক ব্যবস্থার উন্নতি হবে। জানা গিয়েছে জেলা সড়ক ও হাইওয়ের মধ্যে সংযোগ রক্ষায় এই ‘অসম মালা’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চলেছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.