লন্ডন: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তৈরি করা অ্য়াস্ট্রোজেঙ্কার করোনা ভ্যাকসিন দক্ষিণ আফ্রিকায় আবিষ্কৃত স্ট্রেনের বিরুদ্ধে অল্পই সুরক্ষা দিতে পারবে। শনিবার সংস্থার তরফে এই খবর জানানো হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ইউনিভার্সিটি অফ উইটওয়াটারস্রান্ড ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা হ্রাস সম্পর্কিত তথ্যের প্রমাণ পেয়েছে।
ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে পাওয়া করোনার নতুন স্ট্রেন এখন ভাবাচ্ছে বিজ্ঞানীদের। এই স্ট্রেনগুলি অন্যান্য স্ট্রেনের তুলনায় অনেক দ্রুত সংক্রমিত হয়। অ্যাস্ট্রোজেঙ্কার মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের পর দেখা গিয়েছে B.1.351 দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেনের সঙ্গে এই ভ্যাকসিন প্রাথমিক স্তরেই মোকাবিলা করতে পারে। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে বা মারা গিয়েছেন। তবে ঠিক কী কারণে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হল তা এখনই সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়।
সংস্থাটি বলেছে, এই ভ্যাকসিন মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। এর নিরপেক্ষ অ্যান্টিবডি ক্রিয়াকলাপ অন্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের সমতুল্য। এটি গুরুতর রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে পারে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার করোনা স্ট্রেনের বিরুদ্ধে এটি তেমন কার্যকরী নয়। তবে ব্রিটেনে যে স্ট্রেন আবিষ্কার হয়েছে তার সঙ্গে লড়ার ক্ষমতা রাখে কোভিশিল্ড। কারণ এটির ভাইরাসের আগের স্ট্রেনের সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে।
সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা দাবি তাদের COVID-19 ভ্যাকসিন ভাইরাসের বিস্তারকে যথেষ্ট পরিমাণে হ্রাস করতে পারে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন, ChAdOx1 nCoV-19 (AZD1222),ইউকে রেগুলেটরি অথরিটি থেকে জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। ভারতেও কোভিশিল্ড নামে সেটি জানুয়ারি মাসেই জরুরি ক্ষেত্রে ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অক্সফোর্ডের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন রোগের সংক্রমণ ৬৭ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে। এমনকি প্রথম শট নেওয়ার ৩ মাস পরেও দেখা গিয়েছে ভ্যাকসিনের প্রভাব ৭৬ শতাংশ কার্যকর।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের শেষে শুরু হওয়া করোনার জেরে এখন অবধি সারা বিশ্বে ২২ লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১০ কোটি ৩৩ লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। এখনও বিশ্বের পিছিয়ে পড়া দেশগুলি সঠিক ভাবে ভ্যাকসিন পায়নি। উন্নত দেশগুলিতেও মাত্র কয়েকমাস আগে শুরু হয়েছে ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.