আব্বাসকে পাশে পেতে আগ্রহী বাম-কংগ্রেস
বাম-কংগ্রেস চাইছে আব্বাসের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে। তাই জোট বৈঠক স্থগিত রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৯৩টি আসনের ভাগাভাগি চূড়ান্ত করে ফেলেছে বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব। আর ১০১টি আসনে আসন ভাগাভাগি বাকি। এরই মধ্যে আব্বাসের ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে পাশে পাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী বাম-কংগ্রেস।
বাম-কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে ৪৪টি আসনের দাবি
বিশেষ সূত্রের খবর, আব্বাস সিদ্দিকি বাম-কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে ৪৪টি আসনের দাবি জানিয়েছেন। বাম-কংগ্রেস ২২ থেকে ২৬টির বেশি আসন ছাড়তে নারাজ। এই প্রস্তাবে আব্বাস সিদ্দিকিরা রাজি হবেন কি না, তা নিয়েই রয়ে গিয়েছে প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে বাম-কংগ্রেস। তাই বৈঠক আপাতত স্থগিত।
আসন রফা নিয়ে তাড়াহুড়ো না করে ধীরে চলো নীতি
বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছে, জোট নিয়ে আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে আলোচনা চলছে। এর মধ্যে যদি তাঁরা বাকি আসনগুলি নিয়ে রফা করতে বসেন, তাহলে ভুল বার্তা যেতে পারে। তাই বাকি আসন রফা নিয়ে তাড়াহুড়ো না করে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব। আব্বাস সিদ্ধান্ত জানানোর পরই ফের বৈঠক হবে।
জোট জটিলতা বাড়ছে, দুই শিবিরই রয়েছে চিন্তায়
২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে সভা রয়েছে বাম-কংগ্রেসের। ততদিনে যদি জট না কাটে, তবে সঠিক বার্তা যাবে না বাংলার মানুষের কাছে। তাই ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বাম-কংগ্রেস জোট এবং আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোনও জটিলতা রাখতে চাইছে না উভয় নেতৃত্ব। তাই দুই শিবিরই রয়েছে চিন্তায়।
আব্বাস যদি ২৫টি আসনের শর্তে রাজি হয়ে যান
আব্বাস সিদ্দিকি যদি জোটে সামিল হন, তবে কংগ্রেসকে আর বাড়তি আসন ছাড়তে রাজি নয় বাম নেতৃত্ব। আব্বাস যদি ২৫টি আসনের শর্তে রাজি হয়ে যান, তবে সেগুলো কংগ্রেসকেই ছাড়তে হবে বলে দাবি করেছে বামফ্রন্ট। তা আবার মানতে নারাজ কংগ্রেস। কেন কংগ্রেস একা আসন ছাড়বে, কেন বামফ্রন্টের তরফে আসন ছাড়া হবে না, সে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।
বাম-কংগ্রেস আর আব্বাসের মধ্যে টানাপোড়েন অব্যাহত
সবার নজর মালদহ জেলায়। কংগ্রেস যেহেতু মালদহে জেলায় বেশি শক্তিশালী, সেহেতু বামেদের কোনও আসন ছাড়তে রাজি নয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। আব্বাস সিদ্দিকি আবার মালদেহর ৬টি আসনে প্রার্থী দিতে চাইছেন। ফলে বাম-কংগ্রেস আর আব্বাসের মধ্যে টানাপোড়েন অব্যাহত রয়েছে। এখন দেখার কোনও ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয় কি না। এবং কোনও সমাধান সূত্র বের হয় কি না!