স্টাফ রিপোর্টার, রায়গঞ্জ: আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি কালিয়াগঞ্জের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সভা হবে রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে। হঠাৎ করে কেন সভাস্থল বদল করা হল, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর চর্চা।
উত্তর দিনাজপুর জেলায় সংখ্যালঘু এবং রাজবংশী সম্প্রদায়ের বসবাস বেশী। এই দুই এলাকার ভোটাররা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি আস্থা রেখেছে। গত বিধানসভা নির্বাচনের জয়ী আসন ধরে রাখতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। দীর্ঘদিন উত্তর দিনাজপুরে দলের পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু। তিনি বিজেপিতে যাওয়ার পর জেলার দলের সংগঠনের ঠিক কী অবস্থা তা দেখে নিতে চান মমতা। এই দুই কারণেই আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) চান্দোল হাটে সভা করার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই অনুযায়ী প্রশাসনিক আধিকারিক এবং তৃণমূল নেতারা চান্দোল হাট পরিদর্শন করেন। কিন্তু জেলা তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল জানান জানান, কালিয়াগঞ্জের বদলে রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে (Raiganj Stadium) হবে সভা। রায়গঞ্জ পলিটেকনিক কলেজের মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার অবতরণ করবে। তাই সভার আগে সেখানে পরীক্ষামূলকভাবে হেলিকপ্টার অবতরণ করেও দেখা হবে।
সভাস্থল কেন বদল করা হল? স্থানীয় তৃণমূলের দাবি, কালিয়াগঞ্জের মাঠটির যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল নয়। দূর দূরান্ত থেকে সেখানে পৌঁছতে তৃণমূলকর্মীদের সমস্যা হতে পারে। তাই রায়গঞ্জে সভা করার সিদ্ধান্ত।
উত্তর দিনাজপুর জেলার ন’টি আসনের মধ্যে ছ’টি আসনই তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। তবে গত লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে চারটিতে বিজেপি এগিয়ে ছিল। বাকি তিনটিতে তৃনমূল কংগ্রেস এগিয়ে ছিল। উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুর জেলার নয়টি আসনের মধ্যে তৃনমূল কংগ্রেস চারটি কংগ্রেস তিনটি এবং দুটি আসন বামফ্রন্ট দখল করেছিল। নির্বাচনের কিছুদিন পর ইসলামপুর বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক কানাইয়ালাল আগরওয়াল দলত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। এ ছাড়া কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক প্রমথনাথ রায়ের মৃত্যু হওয়ায় ওই আসনটিতে উপনির্বাচন হয়। প্রথমবার কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রটি তৃণমূল কংগ্রেস দখল করে। এ ছাড়াও ইসলামপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়েছিলেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.