পানাজি: শেষ কবে পাঁচ বাঙালি ফুটবলার ইস্টবেঙ্গল একাদশে খেলেছেন? জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ২-১ জয়ের পর লাল-হলুদের ফ্যানগ্রুপগুলো একটা প্রশ্নেই জেরবার। আর হবে নাই বা কেন। শেষ পাঁচ ম্যাচে জয় নেই। চার ম্যাচ নির্বাসিত কোচ রবি ফাওলার। এমতাবস্থায় প্রথম একাদশে পাঁচজন বাঙালি ফুটবলারকে নামিয়ে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে বাজিমাত এসসি ইস্টবেঙ্গলের। স্টেইনম্যান-পিলকিংটনের গোলে মরশুমে তৃতীয় জয়ে খাতায়-কলমে এখনও টিকে রইল প্লে-অফের স্বপ্ন। কেরালা ব্লাস্টার্সকে টপকে লিগ টেবিলে নবমস্থানে উঠে এল লাল-হলুদ ব্রিগেড।

আর ওয়েন কয়েলের দলের বিরুদ্ধে দলের নজরকাড়া পারফরম্যান্সে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিলেন মুম্বই থেকে ট্রান্সফার উইন্ডোয় সদ্য যোগ দেওয়া দুই বাঙালি ফুটবলার সার্থক গোলুই এবং সৌরভ দাস। ম্যাচ জিতে এই দুই’য়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ফাওলারের সহকারী টনি গ্রান্টও। বেঙ্গালুরু ম্যাচের পর এদিন ফের ডাগ-আউটে থেকে দলকে জয় এনে দিয়ে কিছুটা তৃপ্ত টনি। ম্যাচ শেষে জানালেন, ‘ওরা (সার্থক-সৌরভ) এসেই অভিষেকে দারুণ ফুটবল উপহার দিল। আমরা রাজুকেও গত ম্যাচগুলোতে মিস করেছি। সার্থক আসায় আমরা উপরের দিকে একজন অতিরিক্ত বিদেশি খেলাতে পারলাম। সফল হোক কিংবা ব্যর্থ, আমরা চেষ্টা করছি সকলকে সুযোগ দেওয়ার।’

লোবেরার দল থেকে আসা দুই বাঙালি ফুটবলারের ভালো ফুটবলের রহস্য জানাতে গিয়ে ব্ল্যাকপুলের প্রাক্তন সহকারী কোচ বলেন, ‘পেশাদারি মনোভাব নিয়ে খেলার জন্য বলেছিলাম ওদের। ওরা সেটা দেখিয়েছে। এখন ওদের কাজ আগামী সপ্তাহে আরও ভাল ফুটবল উপহার দেওয়া। আজকের পারফরম্যান্সের পর আমার মনে হয় ওরা এই জার্সিটা পরার জন্য দারুণভাবে যোগ্য। ওদের জন্য দারুণ শুরু।’

হায়দরাবাদ থেকে ট্রান্সফার উইন্ডোয় দলে যোগ দিয়ে আইএসএলে লাল-হলুদের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেললেন আরও এক বাঙালি। তিনি সুব্রত পাল। গ্রান্ট জানান, দেবজিত বাদ পড়েছে বললে ভুল বল হবে। তারা সুব্রতকে একবার দেখে নিতে চেয়েছেন বলেই জানালেন ফাওলারের সহকারী। গ্রান্টের কথায়, ‘দেবজিত অসাধারণ। দলে চার ফুটবলারের মধ্যে থেকে ও নিজের যোগ্যতায় প্রথম পছন্দ হয়ে উঠেছে। কিন্তু ভবিষ্যতের কথাও আমাদের ভাবতে হবে আর সে কারণেই এত বেশি সংখ্যক ফুটবলারদের আমরা দেখে নিচ্ছি। আগামী মরশুমে আমরা কাকে দলে চাই সেটাও দেখে নিতে হবে।’

আগামী চার ম্যাচ থেকে পুরো পয়েন্ট তুলে নেওয়ার বার্তা দিলেও গ্রান্টের কথায় উঠে এল আগামী মরশুমের প্রসঙ্গ। পরের মরশুমের কথা ভেবে চলতি মরশুমের বাকি ট্রেনিং সেশনগুলো দলের কাছে যে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ, বুঝিয়ে দিলেন গ্রান্ট।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।