সৌমিত্রের কর্মসূচির পাল্টা
এদিন সকালে উত্তরপাড়ায় পদযাত্রা করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ উত্তরপাড়ায় বাইক মিছিল করেছিলেন। এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি তার পাল্টা। সৌমিত্র খাঁর কর্মসূচিতে তাতে পুলিশের কোনও অনুমতি ছিল না। বলে ভাল পুলিশ ওই বাইক মিছিলে অনুমতি দেয়নি। এব্যাপের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, মিছিলে অনুমতি ছিল না। এব্যাপারে পুলিশও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
উত্তরপাড়া থেকে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ
এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দলত্যাগী বিধায়ক প্রবীর ঘোষালকে উত্তরপাড়া থেকে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। তিনি বলেন, ভদ্রলোকের রক্ত গায়ে থাকলে উত্তরপাড়া থেকে দাঁড়ান। ভোটের ফলের দিন গোবর জলে ধুয়ে দেবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এদিনের মিছিল থেকে প্রবীর ঘোষালেরে বিরুদ্ধে গদ্দার স্লোগান ওঠে। তিনি কটাক্ষের স্লোগানে বলেন, 'রামনবমীর আগে তোর সঙ্গে দেখা হবে, পিষে দেবো পিষে দেবো, দেখা হবে, দেখা হবে, খেলার মাঠে দেখা হবে'। গলা মেলান দলের কর্মীরাও।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কটাক্ষ
এদিনের কর্মসূচি থেকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিকেও কটাক্ষ করেন। তৃণমূল সাংসদ বলেন, কেন্দ্রের টাকায় উনি দলের কাজ করছেন। তৃণমূলের তরফ থেকে তিনি এর নিন্দা করছেন বলেও জানান। কৃষক আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অমানবিক আচরণ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সর্বভারতীয় বিজেপি নেতাদের বাঙালিয়ানা নিয়ে কটাক্ষ করতে গিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নরেন্দ্র মোদী, জেপি নাড্ডারা এখন বাঙালি হয়ে গিয়েছেন। এবার নরেন্দ্র মোদী বসু আর জেপি নাড্ডা কোনও দিন সাহা হয়ে যাবেন।
আগেও নিশানায় দলত্যাগীরা
শুধু প্রবীর ঘোষালই নন। এর আগে যখনই কোনও নেতা তৃণমূল ছেড়েছেন, তখনই গদ্দার, বিশ্বাসঘাতক বলে আক্রমণ শানিয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই তালিকায় রয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া-সহ অনেকেই। যদিও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণকে পাত্তা দিতে রাজি হননি এঁরা। খানিকটা অবজ্ঞাই করেছেন শ্রীরামপুরের সাংসদকে।