কলকাতা : কৃষক আন্দোলনের প্রভাব দেশ জুড়ে পড়েছে। বাংলায় সামনে ভোট। তাই সবার আগে এখানকার কৃষকদের সামাল দিতে মাঠে নেমে পরল বিজেপি। তারা কৃষক বন্ধু এই ধারনা তৈরি করতে বাংলায় রথ যাত্রার সঙ্গেই জেপি নাড্ডা কৃষকদের সঙ্গে খাওয়া দাও করবেন বলে জানা গিয়েছে।
আজ ৬ ফেব্রুয়ারি মালদাহে যাচ্ছেন ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এদিনই জেলার আড়াই হাজার কৃষকের সঙ্গে বসে খিচুড়ি খাবেন তিনি। অংশ নেবেন মহা র্যালিতেও। কিন্তু তার আগে কৃষকদের মধ্যে বক্তৃতা ও তাঁদের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া, এই বিষয়টি রাজনৈতিক মহলে চর্চার বিশেষ চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ওল্ড মালদা ব্লকের সাহাপুরে আম বাগান সংলগ্ন জমিতে কৃষকদের সঙ্গে মিলিত হবেন জেপি নাড্ডা। তার জন্য ২৫০ বাই ২৫০ ফুটের সেই জায়গা কাপড়, ত্রিপল দিয়ে ঘেরা হয়েছে। মূল মঞ্চ ছাড়াও থাকছে ২০টি স্টল। সেখানে কৃষি সরঞ্জাম ও উৎপাদিত ফসলের প্রদর্শনী হবে।
বক্তব্য পেশের পর সেই মাঠেই মাটিতে বসে খিচুড়ি, পাঁচমেশালি তরকারি ও চাটনি সহযোগে পংক্তি ভোজনের ব্যবস্থা। এই সভা ও ভোজনের জন্য আমন্ত্রিত হয়েছে ধান, গম, ভুট্টা, সবজি এবং মালদহের খ্যাত আম, লিচু, রেশম উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত ২৫০০ চাষি।
জেপি জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে, নাড্ডার এই ভোজ আয়োজনের জন্য চাল ডাল সংগ্রহ করা হয়েছে। তাও কীভাবে? জেলার নেতারা জানাচ্ছেন তাঁরা বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করে এনেছেন চাল ডাল। তাতেই হবে খিচুরি রান্না। কৃষকদের অনুষ্ঠান শেষ হলে জেপি নাড্ডা রোড শো করবেন ইংরেজ বাজার পুরসভা এলাকায়।
বলা হচ্ছে এখানে অন্তত এক লক্ষ কর্মী সমর্থক আসবেন। তবে এই হাওয়া যাতে বিজেপির পালে পুরোপুরি না যায় সে জন্য প্রস্তুত তৃণমূলও। জেলা নেতৃত্বের পাল্টা কর্মসূচির পাশাপাশি ১০ ফেব্রুয়ারি মালদায় সভা করতে আসছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার নবদ্বীপ থেকে রথযাত্রা শুরু করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। আসছেন অমিত শাহও। তিনি কোচবিহার থেকে রথযাত্রা শুরু করবেন। এই রথযাত্রার বিরুদ্ধে আবার কলকাতা হাইকোর্টে ইতিমধ্যেই জনস্বার্থ মামলা হয়েছে । যার শুনানি আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি। বিজেপির চিঠির জবাবে নবান্নও জানিয়ে দিয়েছে, রথযাত্রার অনুমতি নিতে হবে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকেই। ৫ টি রথ রাজ্যের ২৯৪ টি বিধানসভা ঘুরে যাত্রা শেষ করবে মার্চ মাসে। তারপরেই রাজ্য বিজেপির তরফে ব্রিগেড সমাবেশের পরিকল্পনা রয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.