বামফ্রন্টে শরিকি-দ্বন্দ্বে তিমিরে জোট, শুধু সিপিএমের সঙ্গে আলোচনা চাইছে কংগ্রেস

ভোট এগিয়ে আসছে, বাংলায় বাম-কংগ্রেস জোট এখনও চূড়ান্ত নয়। এখনও সার্বিকভাবে বাম নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসতে নারাজ কংগ্রেস। আসনরফা নিয়ে সিপিএমের সঙ্গেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক চালিয়ে যেতে চায় তারা। রবিবার পর্যবেক্ষক জিতিন প্রসাদসহ কংগ্রেসের চার সদস্যের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বৈঠক করবে।

কংগ্রেসকে নিয়ে জটিলতা বাম-শরিকদের

কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের সমীকরণ ঠিক থাকলেও, বামফ্রন্টের অন্য শরিকদের মধ্যে জোট নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। সিপিএম ও সিপিআই ঠিক থাকলেও, আরএসপি এবং ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গে কংগ্রেসের জটিলতা বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে বামফ্রন্টের সমস্ত শরিকদের সঙ্গে আলোচনায় যেতে রাজি হচ্ছে না কংগ্রেস।

সিপিএমের সঙ্গে বৈঠকে অগ্রাধিকার কংগ্রেসের

প্রদেশ কংগ্রেস চাইছে, আগে সিপিএমের সঙ্গে বৈঠক করতে, তারপর ফ্রন্টের দুই শরিক আরএসপি ও ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে বসবে কংগ্রেস। সিপিএমের সঙ্গে বৈঠকে সমাধান সূত্র বের করেই কংগ্রেস দুই শরিকের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায়। তাহলে জোট গঠনের প্রক্রিয়া আরও সাবলীল হবে বলে মনে করছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।

সিপিএম এবং কংগ্রেস আলোচনায় সমাধান!

এর মধ্যে আবার ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের নেতা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে জোট গড়তে উৎসাহী বাম-কংগ্রেস। সিপিএম এবং কংগ্রেস তা নিয়েও আলোচনা করতে চায়। ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে গোটা বিষয়টি সম্পন্ন করে ফেলতে চাইছে কংগ্রেস। জোট গঠনের পাশাপাশি সাংগঠনিক অবস্থা নিয়েও আলোচনা করতে কংগ্রেসের চার নেতাকে নির্দেশ দিয়েছেন রাহুল গান্ধী।

সোনিয়ার সবুজ সংকেতের আশায় মান্নান

প্রদেশ নির্বাচন কমিটি, প্রচার কমিটি ও ইস্তেহার কমিটির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করবেন ওই চার নেতা। তারপর ফিরে গিয়ে তাঁরা হাইকম্যান্ডকে রিপোর্ট দেবে। আব্বাসের সঙ্গে জোট চেয়ে সোনি্য়া গান্ধীকে চিঠি লিখিছিলেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। প্রদেশ বুক বেঁধেছে, চার নেতা সোনিয়ার সবুজ সংকেত নিয়ে আসবেন।

More CONGRESS News