নয়াদিল্লি : দেশ জুড়ে চাক্কা জ্যামের ডাক দিয়েছেন কৃষক নেতারা। প্রজাতন্ত্র দিবসে লাল কেল্লার সামনে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তার পুনরাবৃত্তি চায় না দিল্লি পুলিশ। তাই এবার সংঘর্ষ এড়াতে সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে দিল্লি পুলিশের তরফে। বৃহস্পতিবারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পরে নিরাপত্তার কড়াকড়ি করা হয়েছে। এই বৈঠকে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও পুলিশ কমিশনার এস এন শ্রীবাস্তব।
শনিবারের চাক্কা জ্যামের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উত্তর প্রদেশ ও হরিয়ানার পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে কাজ করছে দিল্লি পুলিশ। এরই মধ্যে কৃষক নেতা নেতা রাকেশ টিকাইত জানালেন, আগামীকাল ইউপি এবং উত্তরাখণ্ডে কোনও চাক্কা জ্যাম থাকছে না। এই দুটি জায়গায় কৃষকরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে স্মারকলিপি জমা দেবেন। কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত ও বলবীর সিং রাজেওয়াল চাক্কা জ্যাম না করার কথা ঘোষণা করেছেন।
উল্লেখ্য, প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে নয়াদিল্লি সীমান্তে কৃষক বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে চলেছেন কৃষক নেতারা। ক্রমেই সুর চড়াচ্ছেন কৃষকেরা। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকেরা ঘোষণা করেছেন ৬ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে চাক্কা জ্যাম করা হবে। রাস্তাতেই আটকানো হবে গাড়ি। তবে উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে গাড়ি আটকানো হবে না বলে জানানো হয়েছে। এর আগে দিল্লি এবং এনসিআরে গাড়ি না আটকানোর কথা বলা হয়েছিল। রাকেশ টিকাইত তাঁদের পুরো পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
রাকেশ টিকাইত জানিয়েছেন, মাত্র তিন ঘন্টা চাক্কা জ্যাম থাকবে। শনিবার দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৩ টে পর্যন্ত কৃষকেরা রাস্তা অবরোধ করবেন। কোথাও ধর্না হবে। তিনঘণ্টা পরে বিক্ষোভকারীরা গ্রাম, ব্লক এবং জেলা পর্যায়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের স্মারকলিপি জমা দেবে।
ইতিমধ্যে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানা পুলিশ কৃষক নেতাদের সঙ্গে চাক্কা জ্যাম নিয়ে ইতিমধ্যেই কৃষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছে। আলোচনা করে রুটেও একাধিক পরিবর্তন করা হয়েছে। চাক্কা জ্যাম চলাকালীন কৃষক সংগঠনগুলি সাধারণ মানুষকে চিনাবাদাম, ছোলা, জল, খাবার এবং অন্যান্য জিনিস সরবরাহ করবে। আপাতত কৃষকদের প্ল্যান অনুযায়ী প্রতিটি গ্রাম থেকে দুটি ট্র্যাকটর নিয়ে কৃষকেরা আসবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.