স্টাফ রিপোর্টার, কাঁথি: সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর পাড়ায় দাঁড়িয়ে তাঁকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বললেন, ক্ষমতা থাকলে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ান৷ ৫০ হাজার ভোটে হারাব৷ শুভেন্দু এবং তাঁর পরিবারের নাম না করে ‘মিরজাফর অ্যান্ড কোম্পানি’কে ‘মেদিনীপুর থেকে বিতাড়িত’ করারও আহ্বান জানান অভিষেক।
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার প্রায় দেড় মাস পর তাঁর ‘গড়’ কাঁথিতে সভা করতে এলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার দইসাইয়ের জনসভায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অভিষেক বলেন, মেদিনীপুরের যেকোনও জায়গা থেকে দাঁড়ালেই ‘মীরজাফর’ জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। ক্ষমতায় আসার তিন মাসের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া করার হুঁশিয়ারিও দেন অভিষেক৷ বলেন, “মেদিনীপুর থেকে ১৬টা আসনে জেতান। কথা দিচ্ছি, সরকার গড়ার ৩ মাসের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে ওদের দেউলিয়া করে দেব।” শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ তিনি জানিয়ে বলেন, বাবাকে গিয়ে বল, কাঁথির ‘শান্তিকুঞ্জ’ থেকে ৫ কিমির মধ্যে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি। আগামী দুমাসের মধ্যে ৫০ বার মেদিনীপুরে আমি আসব।
শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক নন্দীগ্রাম থেকে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই মমতার ডেরা দক্ষিণ কলকাতার একটি জনসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ৫০ হাজার ভোটে মুখ্যমন্ত্রীকে হারাব। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এদিন তারই জবাব দিলেন অভিষেক৷
প্রায় ৬ বছর পরে ফের পূর্ব মেদিনীপুরে কোনও কর্মসূচিতে যোগ দিলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ।কাঁথিতে অধিকারী পরিবারের বাসভবন ‘শান্তিকুঞ্জ’র নাম এসেছে অভিষেকের বক্তৃতায়। জনতার উদ্দেশে তাঁর আবেদন, ‘‘জোরে আওয়াজ তুলুন। পাঁচ কিলোমিটার দূরেই তো ‘শান্তিকুঞ্জ’। সেটা যেন থরথর করে কাঁপে।’’
শুভেন্দুর ‘তোলাবাজ ভাইপো’ জবাবে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠির প্রসঙ্গ তুলেছেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘কাদের জন্য সুদীপ্ত সেন সর্বস্বান্ত হলেন, তা নিজেই লিখেছেন।’’
অভিষেক আরও বলেন, ‘‘মেদিনীপুরের মাটিকে কলুষিত করে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন উনি।’’ কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দুর উদ্দেশে কটাক্ষ করে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ বলেছেন, ‘‘সে দিন যে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছিল, এখন তার পায়ে হাত দিয়েই প্রণাম কর।’’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.