ওরা পেরেক পুঁতলে, আমরা ফুলের গাছ লাগাব! কেন্দ্রকে খোঁচা রাকেশ টিকাইতের

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলবৎ করা তিনটি নতুন কৃষি আইন বাতিল করা না হলে আন্দোলন থেকে পিছু হঠবেন না কৃষকরা৷ আরও একবার জানিয়ে দেওয়া হল এই আইনের বিপক্ষে থাকা আন্দোলনকারী কৃষকদের পক্ষ থেকে৷ শনিবার এই কথা জানিয়েছেন ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন বা বিকেইউ-এর নেতা রাকেশ টিকাইত৷

দাবি থেকে এখনও সরছে না কৃষকরা

আন্দোলনের শুরু থেকেই ৪১টি কৃষক সংগঠন নতুন তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবি তুলেছে৷ কেন্দ্রের সঙ্গে একাধিকবার হওয়া বৈঠকেও তাদের তরফে এই দাবিতে অনড় অবস্থান বজায় রাখা হয়েছে৷ তারা যে দাবি থেকে এখনও সরছে না এদিন রাকেশ টিকাইতের কথায় তা আরও একবার স্পষ্ট হল৷

দেশজুড়ে চাক্কা জ্যাম

এদিন আন্দোলনকারী কৃষকদের তরফে দেশজুড়ে চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল৷ তিন ঘণ্টার ওই কর্মসূচি আপাত শান্তিতেই হয়েছে৷ ওই কর্মসূচি চলাকালীন দিল্লির গাজীপুর সীমানায় আন্দোলনকারী কৃষকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন রাকেশ৷ সেখানেই তিনি এই কথা জানান৷

'ওরা রাস্তায় পেরেক পুঁতলে আমরা ফুলের গাছ জন্ম দেব'

তিনি বলেন, 'এই আইন প্রত্যাহারের জন্য আমরা সরকারকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দিলাম৷ তার পর আমরা আবার পরবর্তী পরিকল্পনা করব৷ আমরা সরকারের উপর চাপ তৈরি করে আলোচনা চালাতে চাই না৷ ওরা রাস্তায় পেরেক পুঁতলে আমরা ফুলের গাছ জন্ম দেব।'

গাড়ি চলাচলে কোনও সমস্যা হয়নি

এদিকে এদিন দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় কুন্ডলি থেকে পালওয়াল, পাঠানকোট-জম্মু সড়কেও এই কর্মসূচি পালন করা হয়৷ এছাড়া পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায় একাধিক রাস্তা কৃষকদের আন্দোলনে স্তব্ধ হয়ে যায়৷ তবে অ্যাম্বুল্যান্স ও জরুরি পরিষেবায় ব্যবহৃত গাড়ি চলাচলে কোনও সমস্যা হয়নি বলে খবর পাওয়া গিয়েছে৷

দিল্লি ও এনসিআর-এ ৫০ হাজার পুলিশ

ভারতী কিষান ইউনিয়ন (একতা উগ্রাহান)-এর সাধারণ সম্পাদক সুখদেব সিং কোক্রিকালান জানিয়েছেন যে তাঁরা পাঞ্জাবের সানগ্রুর, বারনালা, ভাতিন্ডা-সহ ১৫টি জেলায় ৩৩টি জায়গায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে৷ কৃষকদের এই কর্মসূচিকে সমর্থন করেছে কংগ্রেস৷ এদিন দিল্লি ও এনসিআর-এ ৫০ হাজার পুলিশ, আধা সামরিক, রিজার্ভ ফোর্সের আধিকারিক মোতায়েন করা হয়েছিল৷ সকাল থেকেই দিল্লির আটটি মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে রাখা হয়েছিল৷

More FARMER News