ঢাকা: টানা উতকণ্ঠার পর অবশেষে বিশ্বের কাছে বার্তা দিল মায়ানমারে সদ্য ক্ষমতা দখল করা সেনাবাহিনি। গত সোমবার বর্মী সেনা রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের পর নেত্রী আউং সান সু কি কে বন্দি করে। নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়া হয়।

কেন এই অভ্যুত্থান? এই প্রশ্নের জবাব চেয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। নীরবতা ভেঙে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে মায়ানমারের সেনা সরকার। সেই চিঠি বাংলাদেশ সরকার বিশ্বের কাছে উত্থাপিত করল।

ঢাকায় বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, মায়ানমার সরকার আমাদের রাষ্ট্রদূতকে একটি চিঠি দিয়েছে। সেখানে তারা বলেছে কী কারণে তারা ক্ষমতা দখল করেছে। তারা বলেছে, এক কোটির বেশি ভুয়ো ভোট হয়েছে। এই ভুয়ো ভোটের কারণে তাদের একটি দায়িত্ব চলে এসেছে।

যদিও অভ্যুত্থানের পরেই মায়ানমারের সেনা শাসক জেনারেল মিন অং লাইংয়ের নির্দেশে সেনাবাহিনি জানিয়েছিল, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। তাই সু কি নেত্রীত্বাধীন এনএলডি সরকার কে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। এক বছর পর ফের নির্বাচন হবে।

বাংলাদেশ যেহেতু মায়ানমারের প্রতিবেশী ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে, তাই বাংলাদেশের কাছে চিঠি পাঠিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছে সেখানকার সামরিক সরকার। এমনই মনে করা হচ্ছে।

ঢাকায় বিদেশমন্ত্রী জানান, ’আমাদের কাছে খবর এসেছে যে মিলিটারি কমান্ডাররা রাখাইনে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে গিয়েছিলেন এবং তাদের সঙ্গে আলাপ করেছেন। রোহিঙ্গারা তাদের অভিযোগের কথা বলেছে যে তারা চলাফেরা করতে পারে না। আর্মি সরকার বলছে, আমরা তোমাদের অবস্থার পরিবর্তন করবো, ধাপে ধাপে অবস্থার পরিবর্তন করবো। এগুলো শুনে কুতুপালং ক্যাম্পে খুব উৎসাহ হচ্ছে। তারা খুশি যে আর্মিরা তাদের অভয় দিচ্ছে।’

লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা মায়ানমারের সেনার হামলা, গণহত্যার ভয়ে পালিয়ে গত কয়েকবছর ধরে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগে রয়েছে। তাদের নিয়ে প্রবল জনসংখ্যা চাপে বাংলাদেশের সরকার। আন্তর্জাতিক মহলেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বারবার মায়ানমার কে চাপ দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে টালবাহানা করেছে সেদেশের সরকার।

মায়ানমারে নির্বাচিত সরকারের সর্বমময় নেত্রী থাকার সময় সু কি নীরব ছিলেন রোহিঙ্গা নির্যাতন বিষয়ে। সেনার ভূমিকাকে সমর্থন করেছিলেন। এই কারণে, আন্তর্জাতিক মহলে ধীকৃত হন নোবেল জয়ী নেত্রী। মনে করা হচ্ছিল তিনি বর্মী সেনার হাতের পুতুল হয়েছেন। অবশেষে গত সোমবার থেকে তিনি গৃহবন্দি। ক্ষমতা দখল করেছে সেনাবাহিনি।

এক নজরে মায়ানমারের সেনা শাসন:

মায়ানমারে ১৯৬২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সামরিক সরকার শাসন চলেছিল। রক্তাক্ত সেনা শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ে নেমে ১৯৮৯ থেকে ২০১০ পর্যন্ত গৃহবন্দি ছিলেন সু কি। ২০১৫ সালে অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে সু কি ক্ষমতায় আসেন। ২০২০ সালের নভেম্বরে জাতীয় নির্বাচনে তাঁর দল বিপুল জয় পায়। এর পরেই দেশের ক্ষমতা জবর দখল করে সেনা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।