কলকাতা: পঞ্চাশের উপরের বয়সীদের জন্য করোনার টিকাকরণ শুরু হয়ে যাবে মার্চ মাস থেকেই। শনিবার কলকাতায় এসে একথা জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে করোনার প্রথম পর্বের টিকাকরণ অভিযান চলছে। গত ১৬ জানুয়ারি থেকে প্রথম পর্বের টিকাকরণ অভিযান চলছে। প্রথম পর্বে দেশের ৩ কোটি ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের টিকা দেওয়া হচ্ছে।
বর্তমানে ভারতে করোনার দুটি টিকা দেওয়া হচ্ছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিশিল্ড ভারতে তৈরি করেছে পুণের সেরাম ইন্সটিটিউট। ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআর বানিয়েছে কোভ্যাক্সিন। জরুরি ভিত্তিতে ভারতে এই দুটি টিকাকে প্রথম পর্বে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এই দুটি টিকাই এখন দেশে দেওয়া হচ্ছে। তবে আরও দু’টি সংস্থার টিকাকেও দ্রুত ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এখনও সাতটি ভ্যাক্সিন পরীক্ষার স্তরে রয়েছে। আপাতত স্বাস্থ্যকর্মী ও দেশের সুরক্ষা বিভাগের কর্মীদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু হলেও মার্চ মাস থেকেই দেশজুড়ে পঞ্চাশের উপরের বয়সীদেরও করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়ে যাবে।
শনিবার কলকাতায় এসে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। একইসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার ধরন খুব একটা আশাপ্রদ নয়। পরিষেবা আরও মসৃণ করা যেত।’’
এদিকে, ইতিমধ্যেই ভারতের কাছে করোনার টিকা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ২২ দেশ। নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে টিকা নিতে আবেদন জানিয়েছে দেশগুলি। তবে কেন্দ্রও এব্যাপারে সাবধানী পদক্ষেপ করছে।
দেশের চাহিদা মিটিয়ে তবেই ভ্যাক্সিন বাইরের দেশে পাঠানোর কথা বারবার বলা হচ্ছে। টিকা বেরিয়ে যাওয়ার পরেও তা সার্বিকভাবে কবে থেকে দেওয়া শুরু হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছিল প্রথম পর্বের টিকাকরণ শুরুর পর থেকেই।
তবে প্রথমেই কোভিড যোদ্ধাদের করোনার টিকা প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই মতো তৎপরতা নিয়েছে কেন্দ্র। প্রথম পর্বে দেশের ৩ কোটি ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। মার্চ মাস থেকে এবার পঞ্চাশের উপরের বয়সীদেরও টিকা দেওয়া শুরু হবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.