কৃষকদের চাক্কা জ্যামে নতুন অশান্তির আশঙ্কায় প্রহর গুণছে দিল্লি। তার আগেই রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের বার্তা পাঠানো হল। ট্রাক্টর ব়্যালির ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে তার জন্য আগে থেকেই শান্তির বার্তা পাঠিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। আন্দোলনকারী কৃষক এবং পুলিশ দুই পক্ষকেই যতটা সম্ভব সংযম বজায় রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। গোটা বিশ্বেই ভারতের কৃষক আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে।
আন্তর্জাতিক মহলে এই নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। পপ তারকা রিহানা থেকে পরিবেশকর্মী গ্রেটা থানবার্গ ভারতের কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে টুইট করেছে। এই নিয়ে তোলপাড় চলছে গোটা দেশে। তার পর থেকে চাপ বেড়েছে মোদী সরকারের উপরে। এই নিয়ো তোলপাড় চলছে গোটা দেশে। রাষ্ট্রপুঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে তার আঁচ। কৃষকদের উপর দিল্লি পুলিশের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অন্যদিকে লালকেল্লা অভিযানে কৃষকরা যা করেছেন তা নিয়েও সমালোচনার পারদ জড়েছে। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ নিজেই সংসদে এর তীব্র সমালোচনা করেছেন।
আজ ফের কৃষকরা চাক্কা জ্যামের ডাক দিয়েছেন। তার আগে থেকেই সতর্ক পুলিশ। দিল্লি সীমান্তে ৫০,০০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কৃষকদের রুখতে কাঁটাতারের বেড়া, রাস্তার দুধারে লোহার রড বসানো হয়েছে। ১২টি মেট্রো স্টেশনে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। এই নিয়ে রাজধানী দিল্লিতে এখন তীব্র উত্তেজনা বজায় রয়েছে।