স্টাফ রিপোর্টার, কাঁথি: বিধানসভা ভোটের পর তৃণমূলের ৩৫-৩৬ জন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ছক কষেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার কাঁথি শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে দইসাইয়ের সভায় এই দাবি করলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷

এদিন ভরা জনসভায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে শুভেন্দুর ক্ষোভের ‘আসল কারণ’ তুলে ধরেন অভিষেক৷ তিনি বলেন, ”আপনাদের খোলাখুলিই বলছি। তৃণমূলে থাকাকালীন কেন ওঁর এত গাত্রদাহ হচ্ছিল জানেন? অবজারভার পদ তুলে দেওয়ায় জ্বালা হয়েছিল।”

তৃণমূলে থাকাকালীন মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর দিনাজপুরের পর্যবেক্ষক পদে ছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পর এই পর্যবেক্ষক পদটিই তুলে দেয় তৃণমূল। অভিষেকের দাবি, “এই অবজারভার পদটির অবলুপ্তিই শুভেন্দুর গাত্রদাহের মূল কারণ। কারণ, শুভেন্দু মুর্শিদাবাদের ২২ টি আসন, মালদহের ১২টি আসন, উত্তর দিনাজপুরের ৯টি আসনের পর্যবেক্ষক ছিলেন। সেই সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬টি আসন তো আছেই। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০টি আসনে আধিপত্য ছিল শুভেন্দুর। পৃথিবী রসাতলে গেলেও এই ৫০টি আসনের মধ্যে ৩৫-৩৬টা তৃণমূল জিতবেই।” অভিষেকের অভিযোগ, “ভোটের পর এই ৩৫-৩৬ জন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ছক করছিলেন শুভেন্দু।” এরপরই অভিষেক শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে বলেন, ” ভাবছ তুমি একা চালাক বাকি সব মুর্খ৷”

এখন তাঁর সঙ্গে না লড়ে তাঁর স্ত্রী’কে টার্গেট করেছে বলেও অভিযোগ তোলেন অভিষেক। সরাসরি তোপ দেগে তিনি বলেন, “বলছে আমার বউ ২ বছর আগে এয়ারপোর্টে সোনা নিয়ে ধরা পড়েছিল। তোর সিআইএসএফ কি নাকে তেল দিয়ে ঘুমোচ্ছিল? আমার তোলাবাজির প্রমাণ দিতে পারলে ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুবরণ করব। আমার বউয়ের কলকাতা ছাড়া কোথাও অ্যাকাউন্ট নেই।”

অভিষেক তোপ দেগে বলেন, ” ওরা বলে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। এই কোম্পানি থেকেই স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী হয়েছে। একজন ৩৫টা পদ নিয়ে বসেছিল। একজন তিনটে দফতরের মন্ত্রী, এতগুলি পারিষদ, কেন অন্যদের সুযোগ দেয়নি! এখন মনে হচ্ছে, গ্রাম বনাম শহরের লড়াই। মানুষকে বোকা বানানো এত সহজ নয়।’

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে চণ্ডীপুরে সভা করতে গিয়েছিলেন অভিষেক। সে সময় মঞ্চে উঠে তাঁকে এক যুবক চড় মেরেছিলেন। এদিন, শনিবার পুরনো অপ্রীতিকর অবস্থা এড়িয়ে অভিষেকের সভায় লক্ষাধিক কর্মী-সমর্থক জড়ো করেছিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।