১২ টা থেকে ৩ টে অবরোধ
দিল্লির সীমান্তে পঞ্জাব, হরিয়ানা ও পশ্চিম উত্তর প্রদেশের কৃষকরা কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে গত আড়াই মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। এবার আন্দোলনের জায়গায় ইন্টারনেট নিষিদ্ধকরণের প্রতিবাদ করে অবরোধের ডাক। সারা দেশের বেলা বারোটা থেকে তিনটে পর্যন্ত জাতীয় সড়কে এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।
দিল্লিতে কোনও প্রভাব পড়বে না
তবে বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছে, এই কর্মসূচির জেরে রাজধানীর দিল্লিতে কোনও প্রভাব পড়বে না। বিশেষ করে জরুরি পরিষেবা, অ্যাম্বুল্যান্স, স্কুল বাসকে এই অবরোধে আটকানো হবে না বলেও আশ্বস্ত করা হয়েছে কৃষক সংগঠনের তরফে। অন্যদিকে দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তারা কোনও রকমের চাক্কা জ্যামের অনুমতি দেয়নি। পাশাপাশি তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে যদি এই কর্মসূচির জেরে শহরের ট্র্যাফিক এবং আইনশৃঙ্খলার ওপরে প্রভাব পড়ে, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া।
দিল্লি সীমান্তে ব্যারিকেড
অন্যদিকে দিল্লি সীমান্তের সিংঘু, টিকরি এবং গাজিপুরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে প্রশাসন। কাঁটাতার, কংক্রিটের দেওয়ার, পরিখা, রাস্তায় গজাল দেওয়া ছাড়াও পাথর আটকাতে রাস্তায় জালের বন্দোবস্তও করা হয়েছে। এছাড়াও বহু সংখ্যায় অস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। জাতীয় রাজধানীতে বিক্ষোভকারীরা যাতে প্রবেশ করতে না পারে, তারজন্যই এই বন্দোবস্ত।
প্রায় ১৫ হাজার আধাসামরিক বাহিনী, সিআরপিএফ, সিআইএসএফ জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের হাতে দেওয়া হয়েছে দাঙ্গা রোধী নানা সরঞ্জাম। এছাড়াও দিল্লি পুলিশের হাজার হাজার জওয়ানকেও মোতায়েন করা হয়েছে চাক্কা জ্যাম জনিত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মোকাবিলায়। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়াতেও কড়া নজর
প্রশাসনের তরফে সোশ্যাল মিডিয়াতেও কড়া নজরদারি শুরু করা হয়েছে। পুলিশ এবং সরকারের বিরুদ্ধে কোনও গুজব ছড়ানো হলেও সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের লালকেল্লায় পৌঁছে যাওয়া এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার ঘটনার পরেই এব্যাপারের আরও সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনায় এক কৃষকের মৃত্যু হয় এবং দুপক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনার পরেই হরিয়ানার অনেক জায়গাতেই ইন্টারনেট পরিষেব বন্ধ করে দেওয়া হয়।