সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় : গোটা সরস্বতীর মূর্তিপুজো হয় না এখানে। এটি নানুরের বেলুটি গ্রাম। এখানে বছরের পর বছর বাগদেবীর ভাঙা পাথরের মূর্তিই পূজিত হয়। সৌজন্যে মহাকবি কালিদাস। কথিত আছে তাঁর বরেই মহাকবি হন কালিদাস। এই জন্যই সারা গ্রামে এভাবেই পূজিতা হন বাগদেবী। এমনকি কোনও স্কুলেও হয় না বাগদেবীর আরাধনা।

মন্দিরের সেবাইত থেকে জানা যায় , এখানেই কঠোর সাধনা করে সরস্বতীর আশীর্বাদ পেয়েছিলেন কালীদাস। সারা বছর দু’বেলা পুজো হয়। পুজোর দিন সকাল থেকেই মন্দিরে মানুষের ঢল নামে। ভিড় জমান দূরদূরান্তের বাসিন্দারাও।

কিন্তু মূর্তি ভাঙা কেন? কথিত রয়েছে গুপ্তযুগে ওই গ্রামের একটি কুণ্ডে সরস্বতীর পূর্ণাবয়ব শিলামুর্তি পাওয়া গিয়েছিল। তা প্রতিষ্ঠা করে পুজোর প্রচলন হয়। পরে কোনও সময়ে কোনও এক হামলায় সেই মূর্তি ভেঙে গিয়েছিল। ভেঙে যাওয়া মূর্তি ফের মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ওই সময় থেকেই বেলুটিতে সরস্বতী হিসেবে ওই ভাঙা পাথরের মূর্তিই পুজো হয়ে আসছে।

গ্রামে একটি প্রাথমিক এবং একটি হাইস্কুল রয়েছে। সাকুল্যে ওই দুটিই। স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা সরস্বতী পুজোর দিন কেউ স্কুলে যায় না, কারন স্কুলে সরস্বতী পুজো হয় না। সারা অঞ্চল ওই পাথরের মূর্তিকেই পুজো করে। তাই ওই সরস্বতীকেই অঞ্জলি দিতে ভিড় জমায় তারা। গ্রামের বাসিন্দারাই শুধু নন, পুজো দিতে দূরদূরান্তের মানুষ হাজির হন মন্দিরে।

এভাবেই পুজো হয় সরস্বতীর

কেন তাঁরা কোথাও না গিয়ে এমনকি বাড়িতেও সরস্বতী পুজো না করে ওই মন্দিরে পুজো দেন? গ্রামবাসীদের ধারনা, মানুষকে মন্দিরে টেনে নিয়ে আসে একটি বিশ্বাস। চলে আসছে সেই কালিদাসের তত্বই। লোকমুখে কথিত রয়েছে এখানেই দেবী সরস্বতীর সাধনা করে মহাকবি হয়েছিলেন মূর্খ কালিদাস। এক মূর্খ ছেলে যদি মহাকবি হতে পারে ওই দেবীর আশীর্বাদে। তাহলে তাঁদের বিশ্বাস, গাঁয়ের ছেলে মেয়েদের পড়াশোনায় মিরাকেল কিছু ঘটে যাক বা না যাক অন্তত ভালো হবে। সেই বিশ্বাসে ভর করেই বছরের পর বছর ধরে পুজোর দিনে প্রত্যন্ত গ্রামটিতে ভিড় জমান বহু মানুষ।

এও জানা যায় শুধু বেলুটিই নয়, এক সময়ে আশপাশের ৪-৫টি গ্রামেও সরস্বতীর কোনও মূর্তি পুজো করা হতো না। সবাই ওই মন্দিরেই পুজো দিতে আসতেন। আস্তে আস্তে সে সব গ্রামে পুজো চালু হলেও, এখানে হয়নি। তবে এখনও অন্য গ্রাম থেকেও অনেকে এখানে পুজো দিতে আসেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।