ব্যাম্বোলিম: পিছিয়ে পড়ে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে দুরন্ত প্রত্যাবর্তনে কুড়িয়ে নেওয়া আত্মবিশ্বাস দিয়েই শনিবার ওডিশা এফসি’কে মাটি ধরাল এটিকে-মোহনবাগান। লিগের ‘লাস্ট নয়’ ওডিশার বিরুদ্ধে এদিন জয়ের জন্য খুব বেশি বেগ পাওয়ার কথা ছিল না সবুজ-মেরুনের। তবুও ব্যাম্বোলিমের জিএমসি স্টেডিয়ামে এদিন পিছিয়ে পড়েও প্রথমার্ধের শেষদিকে সমতা ফিরিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিল ওডিশা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে মনবীর-কৃষ্ণা ঝড়ে কার্যত আত্মসমর্পণ করল তারা।

কোচ বদল হলেও ওডিশার পারফরম্যান্সে কোনও বদল এল না। লিগের ‘লাস্ট বয়’দের ৪-১ গোলে হারিয়ে চলতি টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিল সবুজ-মেরুন। এই জয়ের ফলে শীর্ষে থাকা মুম্বই সিটি এফসি’র সঙ্গে ব্যবধান কমায় ফের জমে উঠল শীর্ষস্থান দখলের লড়াই। এদিনের জয়ের পর ১৫ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট সংগ্রহ করে সার্জিও লোবেরার দলকে যেন প্রচ্ছন্ন হুমকি ছুঁড়ে দিল হাবাসের দল। শীর্ষস্থানীয় মুম্বই সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে তিন পয়েন্টে এগিয়ে।

শীর্ষস্থান দখলের লড়াইয়ে মুম্বইয়ের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান কমিয়ে আনার তাগিদটা এদিন এটিকে-মোহনবাগানের খেলায় শুরু থেকেই ছিল স্পষ্ট। ম্যাচে তার প্রতিফলন দেখা যায় মাত্র ১১ মিনিটেই। একাদশে ফিরেই এদিন ফের একবার নিজের জাত চেনান মনবীর সিং। রয় কৃষ্ণার থেকে বল পেয়ে বক্সের মধ্যে ইনসাইড কাট করেন পঞ্জাব স্ট্রাইকার। এরপর দূরহ কোন থেকে যে শট তিনি জালে রাখেন, সেটা দেখার জন্য লক্ষ মাইল পথ হাঁটা যায়। গোল পেয়েও ওডিশা বক্সে চাপ বজায় রাখে হাবাসের দল। ৪০ মিনিটে মার্সেলিনহোর একটি প্রচেষ্টা দক্ষতার শীর্ষে গিয়ে সেভ করেন অর্শদীপ।

খেলার গতির কিছুটা বিরুদ্ধে গিয়ে সংযুক্তি সময়ে ম্যাচে সমতা ফেরায় ওডিশা। পল রাম্ফাংজাউভার দূরপাল্লার শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হলে ফিরতি বল কার্লিং শটে জালে জড়িয়ে দেন কোল আলেকজান্ডার। দূরপাল্লার শটে করা দক্ষিণ আফ্রিকান মিডফিল্ডারের এই গোলটিও অনবদ্য। মনে করা হয়েছিল এই গোল আত্মবিশ্বাস জোগাবে লিগ টেবিলে নীচে থাকা দলটির। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের পর হাবাসের দল যেন আরও মেজাজী।

৫৪ মিনিটে ফের কৃষ্ণা-মনবীর যুগলবন্দীতে ফের গোল তুলে নেয় বাগান। কৃষ্ণার পাস ধরে অরক্ষিত মনবীর বক্সে প্রবেশ করে মাটি ঘেঁষা শটে পরাস্ত করেন অর্শদীপকে। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি হাবাসের দলকে। জোড়া অ্যাসিস্টের পর ফিজি স্ট্রাইকার গোলের খাতায় নাম তোলেন ৮৩ মিনিটে। প্রণয়ের শট বক্সের মধ্যে এক ওডিশা ডিফেন্ডার হাতে লাগালে পেনাল্টি পায় এটিকে-মোহনবাগান। স্পটকিক থেকে টুর্নামেন্টে নিজের দশম গোলটি করেন কৃষ্ণা।

তিন মিনিট বাদে কার্যত একক দক্ষতায় বিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে কাঁধে নিয়ে বল ধরে বক্সে প্রবেশ করেন গত মরশুমের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার কৃষ্ণা। এরপর অর্শদীপকে কোন সুযোগ না দিয়ে বুলেট শটে বল জালে রাখেন তিনি। সেইসঙ্গে গোয়া স্ট্রাইকার ইগর আঙ্গুলোকে টপকে সর্বাধিক গোলস্কোরার হিসেবে নিজেকে শীর্ষে নিয়ে যান ফিজি স্ট্রাইকার। একইসঙ্গে বড় জয়ে মাঠ ছাড়ে এটিকে-মোহনবাগান।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।